ঢাকা, সোমবার, ২৬শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করতে মানিকগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা
নালিতাবাড়ীতে রচনা ও পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে খুলনা রেঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ প্রস্তুতি
পলাশবাড়ী মহিলা মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনীত হলেন মোঃ শাহজালাল
কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর ৪৬৩ নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক ৬২টি হারানো মোবাইল উদ্ধার
রূপসায় বিএনপি নেতার চাচার ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন
গোবিন্দগঞ্জে ৪’শ জন উপকারভোগীর মাঝে সবজি বীজ বিতরণ
কালীগঞ্জে ভূমি অফিসের আয়োজনে ভূমি মেলা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী
অবিলম্বে প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান বিল্লাহ’র মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে: এ্যাব নেতৃবৃন্দ
নালিতাবাড়ীর ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মোরেলগঞ্জে ৩ দিন ব্যাপি ভূমি মেলা উদযাপন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
মিরপুরে ’টিএজি’ সদস্যদের মাঝে ক্যাপ বিতরণ করলেন ডিসি
আমতলীতে ভূমি মেলা অনুষ্ঠিত
আমতলীতে স্কুল শিক্ষকের উপর হামলা গাড়ি ভাঙচুর

‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক’—মবিনার বিস্ফোরক দাবি

রাজধানীর আদাবরের এএনএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোকাদ্দেস হানিফ টলিনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীর অসহায়ত্ব ও বৈবাহিক সংকটের সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং পরে গর্ভবতী হওয়ার পর সন্তানকে পিতৃপরিচয় দিচ্ছেন না। বরং তিনি ভুক্তভোগী নারী ও তার সন্তানকে গুম ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগ করেছেন।

রবিবার (২৫ মে ) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনের একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন মবিনা জান্নাত নামের এক নারী। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেড়িয়ে ভুক্তভোগীকে নানাভাবে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারীর।

সংবাদ সম্মেলনে মবিনা জান্নাত জানান, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে খোরশেদ আলম রোমেল নামে এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী রেমেলের হাতে দীর্ঘদিন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে ২০২০ সালে তালাকপ্রাপ্ত হন। এরপর চাকরির সুবাদে পরিচয় ঘটে এএনএইচ গ্রুপের এমডি মোকাদ্দেস হানিফের সঙ্গে। তার অভিযোগ, হানিফ তার স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব ও সংকটের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার একই কাজ করেন।

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মবিনা জানতে পারেন তিনি সন্তান সম্ভবা। কিন্তু মোকাদ্দেস বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন এবং সন্তানের দায় নিতে গড়িমসি করেন। এ অবস্থায় সন্তান জন্ম নিলে সামাজিক স্বীকৃতি ও আইনি নিরাপত্তা পাওয়ার আশায় তিনি ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নেন।

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, মোকাদ্দেস হানিফই তার সন্তানের জৈবিক পিতা। তারপরও হানিফ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করতে রাজি হননি বরং রাজনৈতিক যোগাযোগ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমন কি বিশেষ একটি সংস্থা দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ করেন মবিনা।

মবিনা আরও জানান, মামলার পর মোকাদ্দেস হানিফকে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু এক সময়ের প্রভাবশালী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় গত ৫ মে জামিনে বেরিয়ে যান হানিফ। এরপর থেকে মবিনাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমি সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য লড়াই করছি। অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রাণনাশের হুমকি ও সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।”

ভুক্তভোগী এই নারী বলেন, আমার আড়াই বছরের মেয়েটি জন্ম থেকে হার্টে ফুটো। আর্থিক অভাবে তার চিকিৎসা চালাতে পারছি না। জরুরি ভিত্তিতে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু মোকাদ্দেস তার ক্ষমতা ব্যবহার করে আমাকে হয়রানি করছে। কিন্তু সন্তানের চিকিৎসার জন্য কোনো সহযোগিতা করছে না। বরং সে টাকা পয়সা খরচ করে আমাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমন কি মোকাদ্দেসের স্ত্রী ও বোনও অতীতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীনদের ব্যবহার করে মবিনাকে হয়রানি ও হত্যার চেষ্টা করছে। বর্তমানে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহার করে মবিনা ও তার সন্তানকে হয়রানি করে আসছে।

মবিনা জান্নাত তার সন্তানকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সহায়তা এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে এএনএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাদ্দেস হানিফ টলিনের সঙ্গে যোগাযোগা করা হলে তিনি বলেন, ‘এই সন্তান আমার। বিষয়টি পরবর্তীতে সুরাহ করব।’ এই বলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ