
রাজধানীর উত্তরা থেকে বৈষম্য বিরোধী মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ডা. খন্দকার রাহাত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে উত্তরা এক নম্বর সেক্টরে তার নিজ বাসা থেকে রাহাতকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা রয়েছে। রাহাত হোসেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই এবং শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের খুবই আস্থাভাজন ছিলেন বলে জানিয়েছে ডিবিপুলিশ।
একইদিন বিকালে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) রবিউল ইসলাম ভূঁইয়ার নির্দেশনায় উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের এডিসি মো. হেলালউদ্দিন ভূইয়া। হেলালউদ্দিন ভূইয়া বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাহাত হোসেনের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় একটি মামলা হয়। বৈষম্য বিরোধী ওই মামলার এজাহারনামীয় ৩২ নাম্বার আসামি তিনি। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ২২ জুলাই রামপুরা ব্রিজ ও পুলিশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছিল আন্দোলনরতরা। পরে সেখানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরতদের ওপর হামলা করে। এতে অনেকে আহত হন। এদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম নামের একব্যক্তি গুরুতর আহত হন। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি রামপুরা থানায় মামলা করেন।
এদিকে রাহাত হোসেনের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। তাদের এমন একাধিক ছবিসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরছিল।
এডিসি মো. হেলালউদ্দিন ভূইয়া জানিয়েছেন, সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগের কট্টরপন্থী নেতা রাহাত হোসেন। তার বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই তিনি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
ডিআই/এসকে