ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ধানমন্ডিতে মব নিয়ন্ত্রণ করে পুরস্কার পেলেন সেই ওসি
ঝিকরগাছায় শশুর বাড়িতে বিষ পানে এক ব্যক্তির আত্মহত্যা
বর্ষার আগে খাল খনন ও রাস্তা সংস্কারে জোর দিতে হবে: চসিক মেয়র
রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মুশফিকুর রহমান মেহেদী
ঝালকাঠি পৌরসভায় পদোন্নতির অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত দাবিতে আবেদন
মাধবপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ: নারী অফিসার ক্যাডেটসহ ৪৫ অফিসারের ক্যাডেট কমিশন লাভ
মোরেলগঞ্জে শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মশালা
খুলনায় ঝটিকা মিছিলকারী আ”লীগের আরো ৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার
কলাপাড়ায় বিএনপির সাংগঠনিক সভা
কৃতি শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলে আম গাছের চারা উপহার দিলেন: এমবি কলেজ কতৃপক্ষ
তানোরে প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন বিষয়ক অবহিত করণ সেমিনার
নান্দাইলে শিশু কল্যাণ বিষয়ক পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা সভাঌ
পরিবেশ রক্ষায় পটুয়াখালীতে ৩ ইউনিয়নের জনতার মানববন্ধন
বাঙ্গালহালিয়া সরকারি কলেজে ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্যের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

টিকটক করতে ফটোগ্রাফারকে খুন করে ক্যামেরা ছিনতাই, গ্রেফতার ১০

রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন জাফরাবাদ পুলপার ঋষিপাড়া এলাকায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ফটোগ্রাফার নূরুল ইসলামকে খুন করে ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির হাজারীবাগ থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-মো. নাঈম আহম্মেদ (২০), মো. শাহীন অকন্দ ওরফে শাহিনুল (২০) মো. শাহীন চৌকিদার (২২), মো. রহিম সরকার (১৯), মো. নয়ন আহম্মেদ (১৯), রিদয় মাদবর (১৮), মো. আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা (১৯), মো আনোয়ার হোসেন (১৯), মো. শহিদুল ইসলাম (২০) ও মো. আরমান (১৮)।

গতকাল মঙ্গলবার (২০ মে ) ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইকৃত দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, একটি রামদা ও একটি বড় ছোরা উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানী মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মতিঝিল এজিবি কলোনি এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম (২৬) পেশায় ফটোগ্রাফার। তিনি বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি তোলার কাজ করতেন। গত ১৫ মে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে নূরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে, বিয়ের ছবি তোলার জন্য তাকে বুকিং দিয়ে ৫০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে অগ্রিম পাঠায়। পরের দিন (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নূরুল ইসলাম তার সহকারি ইমন ওরফে নুরে আলমসহ ধানমন্ডির শংকর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে এক ব্যক্তি দেখা করে। পরবর্তীতে অটোরিকশায় করে রায়েরবাজার জাফরাবাদ পুলপার ব্লুমিং চাইল্ড স্কুলের কাছে বিয়ের অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা করে। রাত ৮টার দিকে জাফরাবাদ পুলপার ঋষিপাড়া এলাকায় পৌঁছামাত্র অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা তাদের রিকশার গতিরোধ করে। ঘটনার আকস্মিকতায় ইমন রিকশা থেকে লাফিয়ে পালিয়ে গেলেও নুরুল ইসলামকে ধরে ফেলে। তারা ধারালো চাপাতি দিয়ে নুরুল ইসলামের মাথা, ঘাড়, বাহু ও হাতের আঙ্গুলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তার কাছে থাকা দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। নুরুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুষ্কৃতকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অতঃপর ভিকটিম নূরুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নূরুল ইসলামের বড় ভাই ওসমান গনি বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রমনা বিভাগের ডিসি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর মঙ্গলবার ধারাবাহিক সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর শংকর ও রায়েরবাজার এবং আশুলিয়া, ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া ও তারাকান্দা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা সকলেই ১৮-২০ বছর বয়সী।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে গ্রুপের প্রধান নাঈম। তারা মূলত টিকটকার গ্রুপ। সবাই রায়েরবাজার ও আশেপাশের এলাকায় ভাসমান। মোবাইল দিয়ে টিকটক করলে রেজুলেশন ভালো না হওয়ায় তারা ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে ফেসবুকে নিহত নুরুলের পেইজ থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নাঈম শংকর বাসস্ট্যান্ডে নূরুল ইসলাম ও তার সহযোগী ইমনের সাথে দেখা করে। নাঈম তাদেরকে একটি অটোরিকশায় করে জাফরাবাদ পুলপার ব্লুমিং চাইল্ড স্কুলের কাছে বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে নিয়ে যায়। জাফরাবাদ পুলপার ঋষিপাড়া অটোরিকশাটি পৌঁছলে গ্রেফতারকৃত নাঈম, শাহীন, শাহীনুল, রহিম, নয়ন, রিদয়, রাজ্জাক, আনোয়ার, শহিদুল ও আরমান অটোরিকশার গতিরোধ করে নূর ইসলামের কাছ থেকে ডিএসএলআর ক্যামেরা ও ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ক্যামেরা না দিতে চাইলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নূরুল ইসলামের শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং ক্যামেরাসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ