
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয় এখন নৌকার নির্বাচনী অফিস। সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন- ২০২৪ বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় লেখা একটি সাইনবোর্ড উঠনো হয়।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজাপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মাহিম হোসেন ও বর্তমান রাজাপুর শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রমজান মৃধা এই সাইনবোর্ডটি উঠায়।
জানাযায়, দক্ষিণ অঞ্চলের বিএনপির দূর্গ হিসেবে খ্যাত ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতেন ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তিনি এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবং একবার আইন প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন। তার মালিকানাধীন রাজাপুর বাইপাস মোড় সড়কের পাশে দুইতলা বিশিষ্ট একটি ভবনে ২০০৩ সাল থেকে উপজেলা বিএনপির স্থায়ী প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে। কিন্তু গত ৩০ নভেম্বর শাহজাহান ওমর আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে নৌকার মনোনয়ন নেয়। পরে তার মালিকানাধীন ভবন থেকে বিএনপির সকল সাইনবোর্ড ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য বললে তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। আর মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর সেখানে নৌকার নর্বাচনী সাইনবোর্ড উঠানো হয়।
এদিকে ২০ বছরের বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস করায় উপজেলার সকল বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এক সময়ে যেই নেতার কারনে গর্বে বুক ভরে যেত আজ সেই নেতাকেই বেইমান, মীরজাফর সহ বিভিন্ন উপাদি দিচ্ছে বিএনপির কর্মীরা।
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা ভবনটি শাহজাহান ওমরের ব্যক্তিগত জায়গার উপরে তার নিজের অর্থে নির্মাণ করা। এতদিন তিনি বিএনপিতে ছিলেন তাই বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে এখন সে আওয়ামিলীগে গেছেন তাই আওয়ামীলীগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এখনে আমাদের কিছু বলার নাই।
এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, তিনি যখন ঝালকাঠিতে আসছেন তখন আমাকে বলছেন তার ওই অফিস রাজাপুর আওয়ামীলীগের প্রধান কার্যালয়ে হিসেবে ব্যাবহার করবেন। তখন তাকে বলছি রাজাপুরে আওয়ামী লীগের অফিস আছে। আপনি নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যাবহার করতে পারেন। দীর্ঘ ২০ বছর ওই ভবনটি বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে হিসেবে ছিলো এখন থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় হিসেবে চলবে সেক্ষেত্রে আপনারা ওই অফিসে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম চালাবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ওখানে যাব কি যাবো না সেটা পরে দেখা যাবে।
এবিষয়ে জানার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যরিষ্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর উত্তম এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।