
ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:প্রবীণ রাজনীতিক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, সাবেক এমপি এবং সংসদীয় হুইপ,আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, “ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।” তিনি বলেন, “এই স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি, এটি এসেছে ছাত্রদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ এবং গণমানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে।”
১৭ মে শনিবার, বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “৩৬ জুলাইয়ের আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদ বিরোধী এক যুগান্তকারী বিপ্লব। যারা দেশের গনতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেই ছাত্র-জনতাই ছিল এই আন্দোলনের মূল চালিকা শক্তি।” তিনি দাবি করেন, “ফ্যাসিবাদ বিদায়ের নায়ক ছাত্র সমাজ।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে একটি মহল বিপ্লবীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্র সফল হলে কায়েমি স্বার্থবাদীরা আবারো ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসিত করার সুযোগ পাবে বলে তারা মনে করছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে—ছাত্ররা মত-পথের দিক থেকে ভিন্ন হলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তারা একতাবদ্ধ।”
শাহজাহান চৌধুরী হুঁশিয়ার করে বলেন, “দেশের জনগণ এখন সচেতন। ছাত্র সমাজের সাহসিকতা ও ত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না। যারা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার হরণ করেছে, তারা আর কোনোদিন হাল পাবেন না।”তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান, “আপনারা সত্য প্রকাশ করুন, যাতে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হয় এবং গণআন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত না হয়।”চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ সোহাগ মজুমদারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাসস চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, দৈনিক কালের কণ্ঠের চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ মোস্তাফা নঈম, গ্লোবাল টিভির চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো চীফ গোলাম মওলা মুরাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মিয়া মোহাম্মদ আরিফ। এ সময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।