ঢাকা, রবিবার, ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
খিলক্ষেতে তিন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার
মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার
খিলগাঁওয়ে স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার
কালিগঞ্জে উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কমিটি গঠন সভাপতি ইমরান  সম্পাদক রিজভী
মিরপুরে ট্রাফিক সদস্যদের মাঝে স্যালাইন বিতরণ
চট্টগ্রামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শান্তি শোভাযাত্রায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
ফুলবাড়ী থানার বিশেষ অভিযানে ১০০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক ১
পুশইন ঠেকাতে সীমান্তে কারফিউ জারির আহবান জানিয়েছেন :সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝোপের ভেতর মিললো ছিনতাইকারীর চোখ উপড়ে ফেলানো মরদেহ
কলাপাড়ায় খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত ৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ
কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন
ঝিকরগাছায় বিএনপির দু ‘গ্রুপের সংঘর্ষ এক কর্মীর মৃত্যু, গ্রেফতার ৬
নড়াইলে মসজিদের ইমামকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
নওগাঁতে আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর এলাকায় সরকারি বিল্ডিং কোড নিরাপত্তা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভবন নির্মাণের হিড়িক

সোহেল সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের চিত্র এলাকায় সরকারি বিল্ডিং কোড নিরাপত্তা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভবন নির্মাণের হিড়িক গত দুই দশকে দ্রুত নগরায়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় বহুতল ভবন। কিন্তু এসব ভবনের অধিকাংশই নির্মিত হয়েছে সরকারি বিল্ডিং কোড ও নিরাপত্তা নীতিমালা উপেক্ষা করে। এর ফলে বাড়ছে অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পের ঝুঁকি।

শহরের গোকর্ণ রোড কাজীপাড়া জেলা ঈদগাহ যাওয়ার পথে হাতের বাম পাশে অনুমোদনহীন বেশ কিছু বোতল ভবন নির্মাণ নির্মালা দিন ও নির্মাণ করছে পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সহ ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোট করেও আজ বন্ধ করতে পারেনি। অবৈধভাবে নির্মিত বিল্ডিং এর কাজ চলমান রয়েছে প্রশাসনকে এক পর্যায়ে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখানো হয়। শুধু তাই নয় শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে, নিয়মিত তদারকি ও প্রকৌশল পরামর্শ ছাড়াই নির্মিত হচ্ছে দোতলা ও তিনতলা ভবন। ইটের গাঁথুনির উপর ভর করেই তৈরি হচ্ছে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা, যেখানে নেই পর্যাপ্ত কলাম, ভিত্তির কৌশল, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিংবা গ্যাস-বিদ্যুৎ লাইনের ছাড়পত্র।পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বর্তমানে ৩০ হাজারেরও বেশি হোল্ডিং নম্বর রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত দেড়শ’র বেশি বহুতল ভবন রয়েছে, যেগুলোর অনেকগুলোতেই ৬তলার অনুমোদন নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৯ থেকে ১০তলা পর্যন্ত। তবুও পৌর কর্তৃপক্ষ কার্যত নিরব।

নাগরিক সমাজ বলছে, এসব অনিয়মের দায়ে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কেউ নেবে না।

তরী বাংলাদেশের সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, “একটি শহর তিনজন ইঞ্জিনিয়ারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে—এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ফায়ার সার্ভিস বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সময় ভবনের ভেতরে প্রবেশই করতে পারে না। এসব রোধে পৌর কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে।”

জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি নিহার রঞ্জন সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতের কোনো দুর্যোগে এখানে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। কারণ, শহরটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”

পৌর প্রশাসক শংঙ্কর কুমার বিশ্বাস জানান, “নিয়মবহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। নতুন নির্মাণ কাজগুলোতে নিয়ম মানা না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, “আমার নজরে বিষয়টি এসেছে। যেসব ভবন ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে, সেগুলো ভাঙার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা পৌরসভার নেই। তবে নতুন নির্মাণ পর্যায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

নগরায়নের গতি থামানো যাবে না, তবে নিরাপত্তা ও নিয়মের তোয়াক্কা না করলে সেটি হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যতের দুর্যোগ। সচেতন নাগরিকরা চান, এখনই হোক কার্যকর পদক্ষেপ—না হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর এক সময় রূপ নিতে পারে ‘নিয়মহীন উন্নয়নের শোকগাথায়’।”

শেয়ার করুনঃ