
মিরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের করেরহাট বাজার- যাহা পুরো উপজেলার ইনকাম বা আয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, মৌসুমি ফলের বাজার হিসেবেও এটা খুব জনপ্রিয়, আয়ের সর্বোচ্চ খাত হিসেবেও খুব পরিচিত ঐতিহ্যবাহী এই বাজার। যে বাজার কেন্দ্রিক ৫ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১ টি জামে মসজিদ ও ২/৩ টা ইবাদাত খানা, ১টা মন্দির, ১ টা পোস্ট অফিস (ডাকঘর), ১টা তহসিল (ভূমি) অফিস, ৮ টা ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান, ১টা স্বর্ণপদক প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন, কয়েকটি করাত কল, ১ টা কাঁচা বাজার ও প্রায় চার শতাধিক দোকানদারী (ব্যবসায়) প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে একটা কমিটি ও গঠন করা আছে যেটা জাঁকজমকপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঐ কমিটি গঠিত হয়।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, প্রায় চার শতাধিক দোকানদারী (ব্যবসায়) প্রতিষ্ঠান থাকা সত্বেও ঐতিহ্যবাহী এই বাজারে কোন পাবলিক টয়লেট বা শৌচাগার নেই। ফলে স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতা, গ্রাহক-ভোক্তা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে এই বাজারে আসা ব্যবসায়ী, ক্রেতা, ভোক্তা ও সাধারণ মানুষকে বিশেষ করে কাঁচা বাজারে আসা সাধারণ মানুষের জরুরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়, এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে হয় এবং খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
লক্ষিপুরের রামগঞ্জ থেকে আসা মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় যাবৎ ফলের মৌসুমে এই বাজার থেকে ফল নিয়ে যাই কিন্তু পাবলিক টয়লেট না থাকার জন্য অনেকক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তবে এটার একটা সমাধান হওয়া জরুরী।
গণশৌচাগার না থাকায় স্থানীয় বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ক্ষুদ্ধ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশকিছু ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পূর্বের সরকারের সময়ে নেতারা একটু আন্তরিক হলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো কিন্তু তাঁরা কোনরকম গুরুত্ব দেয়নি এবং বিষয়টি নিয়ে কর্ণপাত করেনি।
এবিষয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা, ব্যবসায়ী মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে করেরহাট বাজার পরিচালনা কমিটির এডহক কমিটির আহবায়ক জিয়াউল করিম জিয়া জানান, পাবলিক টয়লেট স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন করা হয়েছে, বাজারে খাস বা সরকারি যায়গা নেই বলে একটু সময় লাগতেছে এছাড়াও মানবিক ও দানবির ব্যক্তিদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এবং আশ্বাস পাওয়া গেছে। তবে সরকারি যায়গা বা সরকারি বরাদ্দ না পেলেও সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানবিক সহায়তা দিয়ে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।