
জামালপুরের বকশীগঞ্জে দশানী নদীতে বাঁধ অপসারণকে কেন্দ্র করে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। বাঁধ অপসারণে বাঁধা দেওয়ায় দুই ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মোবাইল কোর্ট আইনে অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন চর আইরমারী গ্রামের সোনার উদ্দিনের ছেলে রহমত আলী (৪০) ও মৃত হাসেন আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (৩২)।
এদিকে বাঁধ অপসারণের পক্ষে বিপক্ষে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি দশানী নদীর ভাঙন রোধে বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের খাপড়া পাড়া এলাকায় নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে বাঁধ নির্মাণ করেন খাপড়া পাড়া এলাকাবাসী৷
এই বাঁধ দেখে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর আইরমারী গ্রামে পাল্টা বাঁধ নির্মাণ করেন চর আইরমারী গ্রামের মানুষ। ফলে উজানের ২০ টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলের আধাপাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়। এনিয়ে ব্যাপক কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকালে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বাঁধ নির্মাণকারী দুই গ্রামবাসীর সঙ্গে বাঁধ অপসারণ নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে বাঁধ দুটি অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে বিকাল ৫ টার দিকে চর আইরমারী গ্রামে বাঁধ অপসারণে বকশীগঞ্জ ইউএনও মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে যান উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ। অভিযানের সময় চর আইরমারী গ্রামের মানুষ বাঁধ নির্মাণে বাঁধা প্রদান করেন৷ এনিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে গ্রামবাসীর বাকবিতন্ডা হয়।
অপরদিকে বাঁধ অপসারণ করতে স্লোগান দেওয়ায় চর আইরমারী গ্রামবাসীর সঙ্গে শেখ পাড়া গ্রামের মানুষের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বাঁধ অপসারণে বাঁধা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রহমত আলী ও ইউসুফ আলীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদন্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই এলাকায়।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ রানা জানান, বাঁধ অপসারণ করতে গেলে চর আইরমারী গ্রামবাসী বাঁধা প্রদান করেন৷ এতে করে বাঁধটি অপসারণ করা যায় নি। তবে বাঁধা দেওয়ায় দুজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।