ঢাকা, রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পুলিশর অভিযানে গ্রেফতার ১৫০৮
আমার দেশ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে মানববন্ধন
পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার সেই শহীদকন্যার আত্মহত্যা
বিদ্যুৎ-মেট্রোরেলসহ যেকোনো ধরনের সেবা বিঘ্নিত হলে টেলিভিশনে স্ক্রল দিতে হবে
কবির-মুসার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের ঘটনায় হত্যা মামলা
নালিতাবাড়ীতে ১৫ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি শুরু
“চাটমোহরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল বৃদ্ধের”
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে পরবর্তী বাংলাদেশে আ’ লীগের ঠিকানা হবেনা: ভিপি নুর
মিরসরাইয়ে ওমান প্রবাসীর বসতঘর থেকে ৬৯টি গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার
ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী কানাহার কবরস্থান রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
উলিপুরে বে-সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয় করণের দাবিতে সংলাপ
কালিগঞ্জে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সভা 
কালিগঞ্জে জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে জনসচেতনতায় ওয়ার্কশপ 
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আবারও এক বাংলাদেশীর পা বিচ্ছিন্ন
চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে মত বিনিময় সভা

সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে চাঁদা আদায়,১৫ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার ৪

রাজধানীর ভাটারা এলাকায় এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে আটক,মারধর ও জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে এক চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাটারা থানা পুলিশ।

এ সময় তাদের নিকট হতে আদায়কৃত চাঁদার ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২৬এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। এদিন দিবাগত রাত দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ভাটারার বসুমতি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- নাজমুন নাহার সুখী (২৮), কামরুন নাহার আঁখি (৩২), রুমানা ইসলাম স্মৃতি (৫০) ও মো. সাফাত ইসলাম লিংকন (২৫)।

ভাটারা থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, ভিকটিম উচ্চপদস্থ একজন সরকারি কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃত কামরুন নাহার আঁখি তার পূর্ব পরিচিত। ভিকটিমের নিকট হতে বিভিন্ন প্রয়োজনে গত ৩ থেকে ৪ মাসে ৫ লাখ টাকা ধার নেয় আঁখি। পরবর্তীতে ভিকটিম টাকা ফেরত চাইলে আঁখি টালবাহানা শুরু করে। গত ১৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আসেন ভিকটিম। পরদিন (১৯ এপ্রিল) বিকেলে তার আরেক পূর্ব পরিচিত নাজমুন নাহার তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভার কেয়ার হাসপাতালের গেট থেকে ছোলমাইদ উত্তরপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গ্রেফতারকৃত চারজনসহ অজ্ঞাতনামা একজন ভিকটিমকে আটক করে। সেখানে সাফাত ইসলাম বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে এবং অন্যরা তার হাত-পা বেঁধে মারধর করে। অত:পর তারা ভিকটিমের নিকট এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ৬০ লাখ ২৩ হাজার ৮০ টাকা সংগ্রহ করে তাদেরকে দেন। এরপর তারা ভিকটিমের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির ভাটারা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

তিনি বলেন, মামলা রুজুর পর ভাটারা থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির সদস্যদের চিহ্নিত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে শনিবার দিবাগত রাত ভাটারা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সমাজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে তাদের ব্ল্যাকমেইলের জাল বিস্তার করে। প্রথমে তারা তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। সখ্যতার এক পর্যায়ে ভিকটিমদের একটি বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে আটক, নির্মম মারধর, চাঁদা আদায় এবং নগ্ন ভিডিও ধারণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। চক্রের পলাতক এক সদস্যকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ