
পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের অপসারণের দাবিতে ও মানসিক নিপীড়ন, লাঞ্ছনা, গালিগালাজ, চরম অসাদাচরণের প্রতিবাদে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে নারী ও পুরুষ শিক্ষকরা স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের অপসারণের দাবিতে জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তব্য ওবিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে অপসারণের এক দফা এক দাবি ঘোষণা করেন। মোঃ শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক মুজিবুর রহমান, জামিরুল ইসলাম,আলী হুসাইন,হোসনে আরা খাতুন, কাকলি ঠিকাদার, ফারহান জাহান, নাজনীন সুলতানা, শিউলি রানী, সুরাইয়া খাতুন প্রমুখ।গত ২৩ এপ্রিল দাখিল পরীক্ষায় কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালনে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আবেদন করার পরও অধ্যক্ষের গালিগালাজ ও লাঞ্ছনার শিকার হন মাদ্রাসার গণিত শিক্ষক হোসনেয়ারা খাতুন। ঐদিন মাদ্রাসার ৬ জন মহিলা শিক্ষক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সশরীরে হাজির হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, আমার কাছে উনারা এসেছিলেন। বিষয়টি শুনেছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোপূর্বে অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক -কর্মচারীবৃন্দ। লিখিত অভিযোগ পত্রে তারা উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার আপাদমস্তক দুর্নীতিপরায় ও চরিত্রহীন ব্যক্তি।অভিযোগ পত্রে মাদ্রাসায় কর্মরত অফিস সহায়ক আয়ার সাথে অধ্যক্ষের দীর্ঘদিনের অনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক কাকুলি টিকাদার অফিস কক্ষে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে গেলে অধ্যক্ষ ও আয়ার আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার পর থেকে তাকেসহ মাদ্রাসার অন্যান্য মহিলার শিক্ষকদের সাথে নানাভাবে অসদাচরণ ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৩/ ৪ /২০২৫ তারিখ সকাল বেলা দাখিল পরীক্ষায় কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন না করার হোসনেয়ারা খাতুন কে অফিস কক্ষে ডেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করে। শত শত ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীদের সামনে লাঞ্ছিত হওয়ার পর শিক্ষক হোসনেয়ারা খাতুন কান্নায় ভেঙে পড়েন। উল্লেখ্য মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মাদ্রাসার জমি আত্মসাৎ এর অভিযোগে মানববন্ধন ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়েছেন জমি দাতা শিক্ষকসহ এলাকাবাসী।