
রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহতের ঘটনার মামলায় সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানকে আসামী করার প্রতিবাদে ও দল থেকে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে তানোর উপজেলা বিএনপির দলীয় প্রধান কার্যালয়ে তানোর পৌর বিএনপি ও অংগ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে তানোর উপজেলা যুবদল সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় ও তানোর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, তানোর পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা আবু সাইদ বাবু, ৪ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান, ৬ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর ও তানোর পৌর কৃষকদল আহবায়ক মশিউর রহমান, তানোর পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী ও তোফাজ্জুল হোসেন তোফা।
তানোর পৌর সভার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাসারতুল্লাহ, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মুনসুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান মিন্টু, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেকেন্দার আলী, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সমশের সরকার, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ওবাইদুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কুরবান আলী, তানোর উপজেলা মহিলা দল সভাপতি ও তানোর পৌর সভার ২ নং সংরক্ষিত নারী সাবেক কাউন্সিলর মিনারা খাতুন পলী বেগম, তানোর পৌর সভা যুবদল যুগ্ন আহবায়ক শরিয়তুল্লাহ ও রবিউল ইসলাম, যুবদল নেতা লিটন, আবুল কাশেম, খাইরুল, রনি আহম্মেদ, কৃষকদল নেতা এহিয়া, তানোর পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহাবুর রহমান, তানোর পৌর সেচ্ছা সেবক দল সাবেক সাধারন সম্পাদক মনজুর রহমান, তানোর পৌর ছাত্রদল আহবায়ক শাহীন সরকার রঞ্জু প্রমুখ। এসময় তানোর পৌর বিএনপি ও অংগ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাঁচন্দর ইউপি বিএনপি ও অংগ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার মাহফিলের আগে প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন সেখানে যাওয়ার আগেই উনাকে রিসিভ করা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় গানিউলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সংঘর্ষের অনেক পরে প্রধান অতিথির সাথে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র জননেতা মিজানুর রহমান মিজান ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গানিউল মারা যান। গানিউল মারা যাওয়ার পর তার ভাই পাঁচন্দর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মমিনুল হক মমিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রহস্য জনক কারনে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানসহ তার বেশ কয়েকজন অনুসারীকে আসামী করা হয়েছে। ওই মামলার সাথে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান কোন রকম কোন সম্পৃক্ততা নাই।
আমরা চাই উক্ত মামলায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি হোক। কিন্তু যারা জড়িত নেই তাদেরকে হয়রানি না করে উক্ত মামলা থেকে বাদ দেয়া হোক। একই সাথে বিএনপি থেকে জননেতা মিজানুর রহমান মিজানকে করা বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তানোর উপজেলা বিএনপিকে শক্তি করার জন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেত্রীবুন্ধের প্রতি উদার্থ াহবান জানান বক্তারা। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, “জননেতা মিজানুর রহমান মিজান দীর্ঘদিন ধরে তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতাকে ভয় পেয়ে একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাকে মামলায় জড়িয়েছে ও বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা দলীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় করে মিজানুর রহমান মিজানের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বক্তারা এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।