
রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ইস্ট ওয়েস্ট স্কুলের পাশের গলিতে ভোররাতে চাপাতি ঠেকিয়ে এক তরুণীর কাছ থেকে সোনার চেইন ও ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর ২ নাম্বারে অবস্থিত মিরপুর মডেল থানা এলাকার ডিসি মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান।
পুলিশ বলছে, এই চক্রটি শুধু মিরপুর এলাকাতে না রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করতো।
শুক্রবার (১৮এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ২ নাম্বারে মিরপুর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ডিসি মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান।
গ্রেফতারকৃতের নাম-ইমরান খান শাকিল ওরফে শাকিল। তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
মোহাম্মদ মাকছুদুর বলেন,সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চাপাতির মুখে গলার চেইন ও ব্যাগসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাইয় করে নিয়ে যায় একটি চক্র। ভিডিওটির সূত্র ধরে আমরা ভুক্তভোগী কে খুঁজে বের করি। তার কাছ থেকে একটা অভিযোগ নিয়ে আমরা মামলাটি রজু করি। গতকাল মামলাটি হওয়ার পর আমরা সাথে সাথে একটা চৌকস টিম গঠন করে দেই। আজকে দিবাগত ভোর রাতে এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং মূল আসামি ইমরান খান শাকিল ওরফে শাকিলকে আমরা গ্রেফতার করি। তার কাছ থেকে তার সাথে থাকা অন্য দুজন কারা ছিল তাদের নামও আমরা পেয়েছি। তাদেরকে যত দ্রুত গ্রেফতার করা যায় সে বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
এ সময় শাকিলের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল,চাওয়াতি এবং ছিনিয়ে নেওয়া ২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করি। তাদের নামে একাধিক মাদক মামলা সহ বিভিন্ন ধরনের মামলা আছে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তারা শুধু মিরপুর এলাকাতে না রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করে।
মিরপুর এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা জানিয়ে তিনি বলেন, এই এলাকাতে এক সময় চুরি ছিনতাই ডাকাতির প্রবণতা বেশি ছিল। ৫ আগস্ট একটা পরিবর্তিত অবস্থার পরে এসে আমরা এখানে যোগদান করি। আমরা যোগদানের পরে আমাদের একটা থিম ছিল এই ধরনের অপরাধ যেন না হতে পারে। পূর্বে যারা এসব ধরনের অপরাধ সংগঠিত করেছে তাদের একটা প্রোফাইল রেডি করি। সেই প্রোফাইলে অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন জায়গা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করি।
আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চেষ্টা করছি পল্লবী এলাকাতে মানুষ যেন আরো শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে সেজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মিরপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন মনিটরিং ব্যবস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিভিন্ন স্থানে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নামে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযানসহ কাজগুলো করছি। যাতে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
ডিআই/এসকে