

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি, উপজেলা প্রতিনিধি:নাইক্ষ্যংছড়িতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে এক প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা চিনতাই ও হামলার শিকার হয়ে আহত হন। এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা না পেরুতে জনতা কর্তৃক আটক করে পুলিশের কাছে সুর্পদ্য করেন চিন্তায়ই কারীকে উপজাতি যুবককে।
জানা যায়,গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ) দুপুরে সহকারী শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার প্রতিদিনের মতো স্কুল টিফিন ছুটিতে দুপুরের খাবার খেতে যান ঘরে। খাবার খেয়ে যথাসময়ে স্কুলে আসার পথে স্কুল পাড়ার সড়কে পাশের জঙ্গলে কাছাকাছি পৌঁছালে আগে থেকে ওতপেতে থাকা উপজাতি যুবক ওই শিক্ষিকাকে প্রথমে মাথায় আঘাত করে। পরে দস্তা দোস্তিতে বেধড়ক কিল-ঘুষি আর গলা টিপেই ধরেই রক্তাক্ত জখম করে। সেই মুহুর্তেই তার আত্মচিৎকার শুনে পাশের এক বাড়ী থেকে নুরুল আলম নামের এক ব্যাক্তি দৌড়ে আসতে ততক্ষণে ওই শিক্ষিকার মোবাইল,টাকাসহ ব্যান্টি ব্যাগ, ও স্বর্ণের দূল ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। পরক্ষণে নুরুল আলম সাঈদ হামলাকারীকে খুঁজাখুঁজি সময় চারদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি আক্রমণকারীকে খুঁজাখুঁজি করতে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কালো প্রিন্টের একটি ব্যবহৃত শার্ট (জামা) উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে ওই শিক্ষিকা প্রাইভেট একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি জানান, স্কুল টিফিন ছুটিতে প্রতিদিনের মতো দুপুরে খেতে যায়। যথাসময়ে স্কুলে যাওয়ার পথে হঠাৎ করে এক উপজাতি যুবক আমার মাথায় আঘাত করে। পায়ে লাথি মারাতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এক পর্যায়ে তার সাথে দস্তা দোস্তিতে আমাকে বেধড়ক মারধর কিল-ঘুষি মারতে থাকে। আমি চিৎকার করলে আমার মুখে কিল-ঘুষি আর গলায় টিপেই শ্বাসরুদ্ধকর করার চেষ্টা চালায়। পরক্ষণে আমার ব্যবহৃত মোবাইল,টাকা,ব্যাংক চেক বইসহ ব্যানিটি ব্যাগ আর স্বর্ণের কানে দূল চিনিয়ে পালিয়ে যায়। তবে হামলাকারী এক উপজাতি যুবক বলে আমি নিশ্চিত করেন।
মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাষ্টার শফিক রহমান জানান, এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার সাথে শিক্ষক ও এলাকার উপজাতি হেডম্যাম-কারবারি এবং গন্যমান্য ব্যাক্তিদের বৈঠক করেন। এসময় প্রশাসন হামলাকারীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাজির করিয়ে দেওয়ার আল্টিমেটাম বেঁধে দেন।
সেই প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে দায়িত্ব নিয়ে খুঁজাখুঁজি করে অংসাপ্রু মার্মা নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক সমাজ উপযুক্ত বিচারের দাবী জানান।
আটককৃত উপজাতি যুবকের নাম অংসাপ্রু মার্মা প্রকাশ কানাইয়া (২৪)।সে সদর উপজেলার ধুংরী হেডম্যান পাড়ার মংহ্লা প্রু মার্মার ছেলে।
আর এদিকে,বুধবার সন্ধ্যায় আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাসরুরুল হক। তিনি জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার ওপর হামলাকারী অংসাপ্রু মার্মা (২৪) নামে একজন উপজাতি যুবককে ধুংরী হেডম্যান পাড়াবাসীরা আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।