স্টাফ রিপোর্টার আলিফ হোসেন:মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মিনা আক্তার তিশা (৩৩) নামে এক নারীর ওপর নির্যাতনের মামলায় ফারুক শেখ (৫২) গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ২য় আসামি মাহমুদা বেগম।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ফারুক শেখকে গ্রেফতার করা হয়। ফারুক শেখ বাঘড়া এলাকার মৃত শেখ ওহাব আলীর ছেলে। শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের মওগ্রামের নজরুল পাঠানের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪৬) তিনি এখনো দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
মামলার বাদী মিনা আক্তার তিশার অভিযোগ, আমার স্বামী ফারুক শেখ পরকীয়ার প্রেমে জড়িয়ে মাহমুদা বেগমের পরামর্শে আমার ওপর নির্যাতন ও যৌতুক দাবি করে। বিবাহর সময় যৌতুক হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।কিন্তু সে পুনরায় ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। আমার উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। আমি ভবিষ্যত সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে তার সকল নির্যাতন সহ্য করে সংসার করতে থাকি। আমার স্বামী আমার অজ্ঞাতসারে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আমার ফ্লাটের ২য় তলার নজরুল পাঠানের স্ত্রী ও মত্তগ্রামের মোবারক শেখ এর মেয়ে মাহমুদা বেগম (৪৬) এর সাথে। আমি জানতে পারে তাকে এই বিষয়ে কিছু বললে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ মারপিট করে এবং সিগারেটের আগুন দিয়ে আমার হাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দিয়া শরীর ঝলসে দেয়। পরে খবর পেয়ে ভাই এবং ভাবী আসিয়া আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করিয়া শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া চিকিৎসা করায়।আমি চিকিৎসা শেষে শ্রীনগর থানায় গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করি যাহার মামলা নং ১৮।
এ বিষয়ে আসামি মাহমুদা বেগমের কাছে জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা খান বলেন, মামলাটি কোর্টে চলমান রয়েছে আসামি গ্রেফতারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।