স্টাফ রিপোর্টার:
মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগরে কাটাকাটির জের ধরে
হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) উপজেলার ভাগ্যকূল ইউনিয়নের উত্তর কামারগাঁও এলাকায় ঐ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হারুন শেখ বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উওর কামারগাও এলাকার মৃত আমজাদ শেখের ছেলে লিটন শেখ, মৃত কাশেম ফকির এর ছেলে পরান ফকির ,হাশেম ফকির ,জহের ফকির, রতন শেখ এর ছেলে নাঈম শেখ ও তুহিন ফকির সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন মিলে অটোরিকশা ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তারা সকলে আমার বসত বাড়ীর ভিতর অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার বসত ঘরের সামনে আসিয়া আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি বিবাদীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করায় আমাকে এলোপাথাড়ী কিলঘুষি, লাথি মারিয়া এবং বিবাদীদের হাতে থাকা লাঠিসোটা দিয়া পিটাইয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফোলা জখম করে। আমাকে বিবাদীদের মারপিট থেকে রক্ষার্থে আমার স্ত্রী নাসিমা বেগম ,ছেলে নাঈম শেখ, জামাতা আশিক শেখ আমাকে বাঁচাতে আসলে তাদেরকেও মারধর করে। পরে বসত ঘরের টিনের বেড়া, দরজা জানালা বাইরাইয়া এবং কোপাইয়া ভাঙ্গচুর করে ২৫ হাজার টাকা ও আমার চালিত অটোগাড়ী বাইরাইয়া ভাঙ্গচুর করিয়া অনুমান এক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে ।আমাদের ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসতেছে দেখে বিবাদীরা আমি সহ আমার স্ত্রী, সন্তান ও মেয়ে সহ জামাতাকে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে হাশেম ফকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না বাইরে ছিলাম পরবর্তীতে বাসায় এসে শুনি আমার ভাই ও ভাতিজাকে তারা মারধর করেছে। আমি কোনো বাড়িঘর ভাঙচুর করি নাই।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার এসআই রিপন আহামেদ বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম তাদের মারামারি থামিয়ে দিয়ে এসেছি পরবর্তীতে তারা অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।