1. alamgirhossen6085@sokalerkhobor24.com : alamgirhossen6085 :
  2. dinislam1144@sokalerkhobor24.com : Din Islam : Din Islam
  3. litonakter@sokalerkhobor24.com : litonakter :
  4. nalam.cht@sokalerkhobor24.com : nalam.cht :
  5. reporter1@sokalerkhobor.com : reporter1 :
  6. info@sokalerkhobor24.com : sokalerkhobor24 :
  7. admin@sokalerkhobor24.com : unikbd :
রূপগঞ্জে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক: ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য | সকালের খবর ২৪
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
স্কুল-কলেজে সাইবার সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছে এমবিএসটিইউ সাইবার সিকিউরিটি ক্লাব সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের মৃত্যু বার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেত্রী মাকসুদা রীমার শ্রদ্ধাঞ্জলি আজকে উপ- খাদ্য পরিদর্শক পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মোরেলগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন কালশীতে বহুতল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট ‘কথার আগেই পিস্তল চালাতে হবে’, বলা কথিত সন্ত্রাসী গ্রেফতার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযান মালামালসহ আটক-৩ সীমান্তে বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান আটক-৩ নীলফামারীতে ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার পঞ্চগড়ে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল

রূপগঞ্জে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক: ব্যবসায়ীদের অভয়ারণ্য

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৭০ বার পঠিত

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: “কেউ বলে মাদকের ডিপু, কেউ বলে ডিলার পয়েন্ট, আবার কেউবা বলে মাদকের আখড়া। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড নগরপাড়া খামারপাড়াকে এসব নামেই ডাকে মাদক ব্যবসায়ীরা। বাপে বানায় পুতে খায় চোলাই মদ নগরপাড়ায়।” পেপসি সেভেনাপের বোতলে ওপেন বিক্রি হচ্ছে চোলাই মদ। আগে চনপাড়াতে এসব হলেও এখন নগরপাড়া -খামার পাড়াতেই হচ্ছে মাদকের পাইকারী বেচাকেনা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর শিথিলতায় দেশে আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মাদকের ব্যবহার। সূত্র মতে, একদিকে পুলিশ অভিযানে শিথিলতা দেখাচ্ছে, আবার ঘুষ খাওয়া বন্ধ নেই। মাদকের ক্ষেত্রে এই অভিযোগ সবচেয়ে বেশি পুলিশের দিকে। বাদ নেই স্থানীয় নেতাকর্মীসহ কিছু হলুদ সাংবাদিকও।
পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ীরা নানা কৌশলে মাদক বহন করে থাকেন। ইয়াবা ও ফেনসিডিল বহন করা হয় লাউ, নারিকেল আর ম্যাচের বাক্সের ভেতরে করে। হেরোইন বহন করা হয় মিষ্টির প্যাকেটের ভেতরে। আর গাঁজা বহন করা হয় ছালার চটের ভেতরে করে।
মাদক বহনের কাজে ব্যবহার করা হয় শিশু-কিশোরদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলাদের দিয়ে মাদক বহন করা হয়। মহিলাদের স্পর্শকাতর জায়গায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও গাঁজা রেখে বহন করা হয়। মাদক ব্যবসায় রূপগঞ্জে ৭০০-র বেশি শিশু-কিশোর সেলসম্যান রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
মাদক যেন ফেরিওয়ালার বাদাম, হাত বাড়ালেই মিলছে। রূপগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন, ২ টি পৌর সভার পাড়া-মহল্লায় হাত বাড়ালেই মিলছে গাঁজা, মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ যে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য। অ্যাম্বুল্যান্স এবং সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য পরিবহনের গাড়িতে করে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও হেরোইন নিয়ে আসছে কারবারিরা।
মাদক কেনার টাকা জোগার করতে না পারলেই শুরু হয় চুরি, ডাকাতি ছিনতাই। এমনকি খুন খারাবিও হচ্ছে মাদক ব্যবসা নিয়ে। গতকাল রাতে একাধারে ১০ বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কারো গ্যাসষ্টোব, হাড়ি পাতিল, চালের বস্তাসহ বিভিন্ন জিনিষ চুরি করে নিয়ে গেছে।
মাদকের কালো ছায়ায় অন্ধকার নেমে এসেছে রূপগঞ্জে। শর্টকাট ফর্মুলায় ধনী হওয়ার আশায় অনেক তরুণ ও নারীও এ পেশায় ঝুঁকছেন। মরণ নেশা গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল, আইসপিল, টিডিজেসিক ও লুপিজেসিক ইঞ্জেকশনসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্যে সয়লাব হয়ে গেছে রূপগঞ্জ। বিভিন্ন সমীক্ষালব্ধ তথ্য থেকে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ১ লাখ মাদকসেবী রয়েছে। বছরে তারা প্রায় ১৫০ কোটি টাকার মাদক গ্রহণ করেন। মাদকের বিষাক্ত ছোবলে হাজার হাজার তরুণের জীবন বিপন্ন। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত চুনোপুঁটিরা ধরা পড়লেও রাঘব-বোয়ালরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরেই।
উপজেলার ৪০০ এর বেশি স্পটে কেনাবেচা চলে দিন রাত। উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে এর প্রভাব বেশি। বিভিন্ন সময়ে মাদক নিয়ে সভা, সেমিনার, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করলেও কাজের কাজ কিছুই হয় নাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের চেয়ে কয়েক গুন বেড়েছে মাদক কারবারি। বেচাকেনা হতো খুব গোপনে। বর্তমানে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে মাদক কারবারিরা। স্থানীয়রাও ভয়ে এসব মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারছেন না। ফলে উপজেলাতে এখন অবাধে চলছে মাদক কেনাবেচা। উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত চার মাসে র‌্যাব, ডিবি ও থানা পুলিশ ২৫টি মামলা করেছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। আর এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ২৩৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। বর্তমানে উপজেলাজুড়ে মাদকের অভয়ারণ্য বলে অভিহিত করেছেন অনেকেই।রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিত চলমান। মাদক ব্যবসায়ীদেও সোর্স রয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে। সোর্সেও মাধ্যমে খবর পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তা ছাড়া মাদক নিয়ে অভিযান চালাতে গেলে নানা দুর্ঘটনা ঘটে।মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণাকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, রূপগঞ্জে মাদক মাকড়সার মতো ছড়িয়ে গেছে। অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সকালের খবর ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি ।
Developed By UNIK BD