মোঃ কামরুজ্জামান হেলাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী রাঙ্গাবালীর ছোটবাইশদিয়া ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সাবেক সচিব) ও উদ্যােক্তার কক্ষ ভাংচুর করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত। জানা গেছে, ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৪ টায় ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধন অংশ গ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন ইকবাল মাহমুূদ, ছোট বাইশদিয়া ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ( সাবেক সচিব) মোঃ সোহেলুর রহমান ও ইউপি সদস্য -সেফালী বেগম, রিনা বেগম এবং রেশাদ খলিফা,রাঙ্গাবালী উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদ পারভেজ খোকন প্রমুখ।বক্তারা এসময় সাংবাদিকদের বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মামলাবাজ ও ভূমিদস্যু বায়েজিদ আহম্মেদ কালু বাহিনীর নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদে ভাংচুর চালানো হয়। সরকারি চাল, প্রকল্প ও বিভিন্ন কাজের থেকে চাঁদা না দেয়ার কারনে এ বাহিনী সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বাহিনী অনিয়ন্ত্রিত। এরা জোরপূর্বক সাধারণ মানুষের জমি জমা, মাছের ঘের দখলে নিয়েছে। বায়েজিদ কালুর নামে হত্যা, ঘের দখল, মাছ লুটসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসী কালু বাহিনীর তান্ডবে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। হামলা মামলা ও চাঁদাবাজি এ বাহিনীর নিত্য দিনের কাজ। এ সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে সরকারি ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রক্ষা পায় নাই। ইউনিয়ন পরিষদ ভাংচুর করার কারনে তারা এখন সেবা থেকে বঞ্চিত। তারা বায়েজিদ আহম্মেদ কালু সহ সন্ত্রাসী বাহিনীর কঠোর বিচার দাবী করেন। ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল পাশা সাংবাদিকদের জানান, এ বায়েজিদ আহম্মেদ কালু আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা চেয়েছিলো, আমি না দেয়ায় এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভাংচুর করেছে। এদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী থানায় আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি । তবে এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। পরিষদের সেবা প্রদানের কম্পিউটার ও দুইটি অফিস কক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় নাগরিক সেবা বঞ্চিত এ ইউনিয়নের মানুষ। আমি এ সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি দাবী করছি। উক্ত ঘন্টাব্যপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের সহস্রাধিক নারী- পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত: রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ বায়েজিদ আহমেদ কালু ও তাঁর সহযোগিরা ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে হামলা – ভাংচুর করে বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে যায় বলে এজন্য এ ইউনিয়নের মানুষজন তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন বলে জানা যায়।