1. alamgirhossen6085@sokalerkhobor24.com : alamgirhossen6085 :
  2. dinislam1144@sokalerkhobor24.com : Din Islam : Din Islam
  3. litonakter@sokalerkhobor24.com : litonakter :
  4. nalam.cht@sokalerkhobor24.com : nalam.cht :
  5. reporter1@sokalerkhobor.com : reporter1 :
  6. info@sokalerkhobor24.com : sokalerkhobor24 :
  7. admin@sokalerkhobor24.com : unikbd :
রাউজানে সরকারি রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা স্থানীয়দের | সকালের খবর ২৪
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আদিতমারীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল অটোরিক্সা নিহত ২ বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই স্কুল-কলেজে সাইবার সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছে এমবিএসটিইউ সাইবার সিকিউরিটি ক্লাব সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের মৃত্যু বার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেত্রী মাকসুদা রীমার শ্রদ্ধাঞ্জলি আজকে উপ- খাদ্য পরিদর্শক পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মোরেলগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন কালশীতে বহুতল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট ‘কথার আগেই পিস্তল চালাতে হবে’, বলা কথিত সন্ত্রাসী গ্রেফতার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযান মালামালসহ আটক-৩

রাউজানে সরকারি রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা স্থানীয়দের

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪৫ বার পঠিত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ১ইউনিয়নের পশ্চিম গুজরা এলাকায় সরকারি রাস্তার ওপর অনুমোদনবিহীন নকশায় বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক পরিবারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে, জাল কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণ করে স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় জনসাধারণ ভবনটি ভেঙে রাস্তা উন্মুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাফর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাউজানের নোয়াপাড়া পশ্চিম গুজরার আহমদুর রহমানের বাড়ির আলাউদ্দিনের পুত্র নুরুল ইসলাম ও তার পুত্ররা— মো. জাহেদুল ইসলাম, মো. শাহেদুল ইসলাম, নিজামুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম— যৌথভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি রাস্তা বন্দোবস্তে নিয়ে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে আসছেন।

তবে সরকারি নথি অনুযায়ী, উক্ত জায়গাটি পশ্চিম গুজরা এলাকার মৃত আছদ আলীর পুত্র হাজী আকাম উদ্দিন বন্দোবস্ত মামলা মূলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বৈধভাবে বন্দোবস্তে নিয়েছিলেন। এটি মূলত সরকার ঘোষিত জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা হওয়ায় তিনি জীবদ্দশায় রাস্তা দখল না করে সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রেখেছিলেন।

১৯৯৭ সালের ২ মার্চ আকাম উদ্দিন নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে জায়গাটির কোনো ওয়ারিশ না থাকায় তা স্থানীয় জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত সরকারি রাস্তা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

অভিযোগ রয়েছে, দুই বছর আগে নুরুল ইসলাম নিজেকে মৃত আকাম উদ্দিনের পালকপুত্র দাবি করে উক্ত জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। স্থানীয়রা রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নির্মাণ বন্ধের অনুরোধ করলেও তিনি তা অগ্রাহ্য করে জোরপূর্বক দুই তলা ভবন নির্মাণ করেন এবং এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় মো. জাফর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (উত্তর), চট্টগ্রামে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৭ ধারায় মামলা (নং-৭২/২০২৫, রাউজান) দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী এস.এম. ছানাউল করিম তদন্ত পরিচালনা করে ২৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উক্ত তফসীলোক্ত জায়গাটি সত্যিই আকাম উদ্দিন বন্দোবস্তে নিয়েছিলেন, তবে নুরুল ইসলাম তার কোনো ওয়ারিশ নন। আর.এস. ও পি.এস. রেকর্ড অনুযায়ী জায়গাটি “রাস্তা” শ্রেণিভুক্ত সরকারি সম্পত্তি। সুতরাং ব্যক্তিগত মালিকানা দাবি করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ আইনত অপরাধ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “তফসীলোক্ত জায়গাটি আর.এস. ও পি.এস. জরিপ অনুযায়ী সরকারিকৃত রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত। উক্ত জায়গায় নির্মাণাধীন ভবন আইনগতভাবে অননুমোদিত, যা চলাচল ব্যাহত করছে। অতএব, বন্দোবস্ত বাতিল করে ভবন উচ্ছেদপূর্বক জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভবন নির্মাণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, মসজিদ ও মাদরাসামুখী মুসল্লি এবং সাধারণ পথচারীরা বাধ্য হচ্ছেন বিকল্প পথে চলাচল করতে।

এ প্রসঙ্গে এলাকার সচেতন মহল বলছেন, “রাস্তাঘাটের ওপর ব্যক্তিগত দখল বন্ধ করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। রাস্তা জনগণের সম্পদ— একে কেউ ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না।”

তারা আরও বলেন, “প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপে উক্ত রাস্তা দখলমুক্ত করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সকলের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাস্তা যেন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে না থাকে, সে বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, সরকারি রাস্তার ওপর কোনো স্থাপনা নির্মাণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন— দ্রুত তদন্ত সমাপ্ত করে ভবনটি উচ্ছেদ, রাস্তা দখলমুক্ত করা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

চলাচলের জন্য উন্মুক্ত সরকারি রাস্তা সকলের মৌলিক অধিকার— এই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এখন প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে রাউজানবাসী।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সকালের খবর ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি ।
Developed By UNIK BD