

ইমতিয়াজ আহমেদ ইমন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বৃহত্তর রাজশাহী এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত ৩১ অক্টোবর, শুক্রবার আয়োজন করা হয় বাৎসরিক বনভোজন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় শেরপুরের গজনি অবকাশ কেন্দ্র ও মধুটিলা ইকোপার্কে।
ভোরবেলা মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে বাসে করে সদস্যরা রওনা দেন গজনির উদ্দেশ্যে। দুপুরের আগে পৌঁছে সবাই উপভোগ করেন প্রকৃতির মনোরম সৌন্দর্য। গজনি অবকাশ কেন্দ্রে ঘোরাঘুরি শেষে আয়োজন করা হয় দুপুরের খাবারের। এরপর জুম্মার নামাজ আদায় করে সবাই মিলে ঘুরে দেখেন গজনির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান।
বিকেলে তারা রওনা দেন মধুটিলা ইকোপার্কের উদ্দেশ্যে। সেখানে সদস্যরা পাহাড়ে ওঠানামার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা উপভোগ করেন। অনেকের মতে, নামার সময়টাই ছিল সবচেয়ে বেশি এডভেঞ্চারাস। পাহাড়ের চূড়ায় সবাই মিলে গান, আড্ডা এবং ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়, যা পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। দিনব্যাপী আনন্দময় এই সফর শেষে সন্ধ্যায় সবাই ক্যাম্পাস এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বৃহত্তর রাজশাহী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আলিম বলেন,
“ এবারের বনভোজন ও নবীনবরণ ছিল দারুণ উপভোগ্য। গজনি ও মধুটিলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আমরা সবাই একসাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। নবীনদের সঙ্গে পরিচয়, গান, খেলাধুলা—সব মিলিয়ে একটা পারিবারিক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এমন উদ্যোগ আমাদের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে। আশা করি, এই ধারা আগামীতেও বজায় থাকবে।”
নবীন শিক্ষার্থী মো. হাসিবুল্লাহ হাসিব বলেন,“এটা ছিল আমার প্রথম বনভোজন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান, আর অভিজ্ঞতাটা সত্যি অসাধারণ! সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা খুব আন্তরিক ছিলেন, আমাদের সবাইকে আপন করে নিয়েছেন। পাহাড়ে ওঠানামা, গান, হাসি—সবকিছুই মনে রাখার মতো। আমি সত্যিই গর্বিত যে এমন একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সংগঠনের অংশ হতে পেরেছি।”
অংশগ্রহণকারীরা জানান, এই আয়োজন ছিল তাদের জন্য এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা—আনন্দ, বন্ধুত্ব ও রোমাঞ্চে ভরপুর। তারা আশা প্রকাশ করেন, এমন আনন্দঘন আয়োজন প্রতি বছর অব্যাহত থাকবে।