শ্রীবাস সরকার, মাধবপুর প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাহাড় সম অভিযোগ উঠেছে। তিনি কয়েকদিন পর পর চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দেন । সম্প্রতি তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে মসজিদের পাশে থাকা পাঁচটি নারিকেল গাছ থেকে ৫০ টিরও বেশি নারিকেল কেটে নিয়ে যান। যা স্থানীয়রা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছেন।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর মুসল্লি ও মসজিদ কমিটির সদস্যদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সদস্য ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, মসজিদের সম্পদ চুরি করা গুরুতর গুনাহের কাজ । আমরা চাই উপজেলা প্রশাসন দ্রুত এই চুরির ব্যবস্থা নিক।
স্থানীয় মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন, সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণ শুধু নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, এটি সরকারি সম্পদ আত্মসাতের শামিল। যিনি শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা তার কাছ থেকে এ ধরনের অনৈতিক কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউন্নবী বলেন,এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। মসজিদের সম্পদ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসব এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ বিন কাশেম বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা নারিকেল নেওয়ার বিষয়ে কোনো অনুমতি নেননি। বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা অফিসাররা জনগণের সেবা করি। কিছু নারিকেল নিয়েছি, অভিযোগ থাকলে মূল্য পরিশোধ করব। আমি জানতাম না এটি মসজিদের জায়গা।প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই শিক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঘটনাটির পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জাহিদ বিন কাশেম তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠান বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কর্মকর্তা নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে সেটি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন ।