সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোডে চলমান সংস্কার কাজ ও তীব্র যানজটের কারন প্রধান কারণ দুটি। এর মধ্যে ভারতীয় প্রকল্পই সমস্যার মূল কারণ। এখন আমরা তাদের টাকা পরিশোধ করেছি। তাই মহাসড়কে কাজ আবার চালু হয়েছে। আশা করি আগামী জানুয়ারির ভেতরেই চলমান কাজ শেষ হবে। তখন আর যানজটের ভোগান্তি থাকবে না। এছাড়া এখানে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সরাইল বিশ্বরোডে চলমান সংস্কার কাজ ও যানজটের বাস্তব চিত্র দেখতে এসে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এ সময় আরও বলেন, যানবাহন এক লেনে এসে একদিকেই একাধিক লেন তৈরী করে ফলে বিপরীত দিকের যানবাহন চলাচলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে জনগণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে যানবাহনের চালক ও যাত্রী সাধারণকে আরও অধিকতর সচেতন হতে হবে।
জানা যায়, চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেখান থেকে সড়কপথে আশুগঞ্জ রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন। ১০টা ২০ মিনিটে তিনি আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোডের উদ্দেশে রওনা হন। পথে আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা যানজটে আটকে ছিলেন। এরপর গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষন হাঁটার পর বাহাদুরপুর এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে তিনি বিশ্বরোডের দিকে রওনা হন। সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলে ছিলেন উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈন উদ্দীন।
মোটরসাইকেলে করে এসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা এবং তীব্র যানজটের কারন অনুসন্ধানে সাধারণ যাত্রী ও মহাসড়ক সংস্কারে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মোশারফ হোসাইন, হাইওয়ে পুলিশ সুপার শাহীনুর আলম, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সরাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারসহ সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।