মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামে
টাকা চুরির অভিযোগ তোলায় সাজিদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত
রায়হান (২২) ও নুরুন্নবী (২৩) নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালের দিকে বিরামপুর উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর (জোলাপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজিদুল ইসলাম (৩৮) বিরামপুর উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ দাউদপুর (জোলাপাড়া) গ্রামের মৃত: অছির উদ্দিনের ছেলে। বিরামপুর থানা পুলিশ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে লাশ দিনাজপুর মর্গে পাঠিয়েছেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সাজিদুল ইসলাম (৩৫) তার ঘরের তোষকের নিচে ছয় হাজার টাকা রাখেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) টাকা খুঁজতে গিয়ে দেখেন চার হাজার টাকা চুরি গেছে। বিষয়টি তার মা সাজেদা বেগমকে জানালে সাজেদা বেগম বলেন, ঐ ঘরে একই গ্রামের মৃত্যু মোজাম্মেল হকের ছেলে রায়হান কবির (২৫) ও বেলাল হোসেনের ছেলে নুরুন্নবী (২৮) প্রবেশ (ঢুকে ছিল) করেছিল। এঘটনাই বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দাউদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঐ দু’জনকে দেখে সাজিদুল ইসলাম তার ঘর থেকে টাকা নেওয়ার বিষয় জিজ্ঞাস করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান ও নুরুন্নবী বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজিদুলকে বেধড়ক মারপিট করলে সাজিদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা সাজিদুলকে দ্রুত উদ্ধার করে কাটলা বাজারের স্থানীয় এক ডাক্তারকে দেখান। তিনি দ্রুত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পরামর্শ দেন। তারপর সাজিদুলকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সন্ধায় দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে অবস্থার অবনিত ঘটলে তাকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজিদুলকে মৃত: ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে রায়হান (২২) ও নুরুন্নবী (২৩) পলাতক রয়েছেন।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক জানান, টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত পলাতক দু’জন গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে নিহতের আত্মীয়- স্বজনদের পক্ষে থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।