

দবিরুল ইসলাম পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বড়মানিক ছোট যমুনা নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু সীমান্ত অঞ্চলের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেতু নির্মাণের মধ্যদিয়ে সীমান্তবাসীর আর্থ সামাজিক ও জীবন জীবিকার মান উন্নয়নের পাশাপাশি বাড়বে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সীমান্ত অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই কৃষিসহ অন্যান্য পেশার সঙ্গে জড়িত। সেতু নির্মাণ হলেই এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায়, ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে, যা সীমান্ত এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে সরাসরি ভূমিকা রাখবে।
জানাগেছে, উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে বড়মানিক ছোট যমুনা নদীর উপর প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে নির্মাণ করা হচ্ছে এই সেতু। সেতুর ওপারে ধরঞ্জী ও আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের অসংখ্য গ্রাম ভারত সীমান্ত ঘেঁষা। সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষই কৃষির সঙ্গে জড়িত। একারনে ধান, আলু, আখ ও পাটসহ সব ধরনের ফসলের চাষাবাদ করেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
সীমান্ত এলাকার কৃষকরা জানান, এতদিন সেতু না থাকায় জমি থেকেই ফরিয়াদের কাছে কম দামে বিক্রি করত হত কষ্টের ফসল। তবে ছোট যমুনার ওপর নির্মিত একটি সেতুই যেন এখন আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে বলে আশা করছেন। দ্রুত সময়ে সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে উপজেলার হাটবাজারে সরাসরি নিজেদের উৎপাদিত ফসল দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ে বিক্রি করতে পারবো আমরা কৃষকেরা। যা আগে নদীর কারণে বাধাগ্রস্ত হতো।সেতু নির্মাণের ফলে সীমান্তবাসীর জীবনযাত্রার মান বদলে গেছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষের উপার্জনের প্রধান উৎস কৃষি। এতদিন যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় মধ্যস্বত্বভোগীরা মাঠে গিয়ে বাজারদরের তুলনায় কম দামে কৃষকদের থেকে কৃষিপণ্য সংগ্রহ করতেন। এখন কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করতে পারছেন।পাঁচবিবি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, ৯০ দশমিক ৬ মিটার দীর্ঘ গার্ডার সেতু নির্মাণে প্রকল্পের চুক্তি মেয়াদ অনুযায়ী গত দেড় বছরে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন করা হলেও দ্বিতীয় মেয়াদের চার মাসে সেতুটির ৩০ শতাংশ কাজ দ্রুত গতিতে করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের চুক্তি মেয়াদ অনুযায়ী সেতুটির শতভাগ কাজ শেষ হবে এবং চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান এই প্রকৌশলী।