স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের নান্দাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কামরুল ইসলাম ইন্টু নামে এক পোস্ট অফিসের কর্মচারীর পরবিারকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ভোক্তভোগী পরিবারের দাবী পাশ্ববর্তী উপজেলার অন্য একটি ঘটনায় জড়িয়ে কামরুল ইসলাম ইন্টু সহ আরো ৬/৭ জনকে আসামী করেছে প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী আবুল হাসেমের বোন রোজিনা আক্তার। উক্ত মামলায় কামরুল ইসলাম ইন্টু ও তার স্কুল পড়ুয়া পুত্র মুন্না সহ পুরো পরিবার হয়রানির শিকার হয়েছে। তবে ব্যবসায়ী আবুল হাসেমকে রাতের আধারে রাস্তায় ফেলে মারধর করার ঘটনাটি সত্য হলেও স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের দাবী এটি একটি ছিনতাইকৃত অথবা জুয়ারিদের ক্ষোভের বশবর্তী একটি হামলার ঘটনা। সরজমিন পরির্দশনে এমনি তথ্য তুলে ধরে এলাকাবাসী ও ভোক্তভোগী কামরুল ইসলাম ইন্টুর পরিবার।
জানাগেছে, কামরুল ইসলাম ইন্টুর পিতা অবসর প্রাপ্ত পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন ও কন্যা রেজিনা আক্তারের জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ ছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও মামলা-মোকাদ্দমা রয়েছে। কিন্তু গত ৩০শে জুলাই/২৫ইং গভীর রাতে ব্যবসায়ী আবুল হাসেম পাশ্ববর্তী উপজেলার আঠারবাড়ি বাজার থেকে বাড়ি ফিরার পথে পথিমধ্যে কে বা কারা তাকে চোখ বেঁধে মারধর করে চরপাড়া নামক রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু পরদিন সকালে ওই এলাকার লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আবুল হাসেম তখন কোন উত্তর দেননি। পরবর্তীতে কামরুল ইসলাম ইন্টুর পরিবারের সদস্যদের নাম উল্লেখ করে তার বোন রেজিনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ও আফতাব উদ্দিন বলেন, রাতের আধারে আবুল হাসেমের উপর হামলা হয়েছে এ কথা সত্য। কিন্তু কে বা কাহারা করেছে, তা আমরা জানিনা। কিন্তু প্রথমে শোনেছি ছিনতাইয়ের ঘটনা, উনি কাউকে দেখেননি। পরবর্তীতে শোনা গেছে আবুল হাসেম বলেছেন, কামরুল ইসলাম ইন্টুর লোকজন জড়িত। এ ব্যাপারে মিথ্যা মামলায় ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, এটি একটি মিথ্যা মামলা। কামরুল ইসলাম ইন্টু ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তিনি নিজ বাড়িতে তাঁর আরও দুইজন কর্মচারীকে নিয়ে ক্ষুদ্র শিল্পের কাজ করছিলেন। ইন্টু চাকুরীর পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করেন। তবে তাদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে সত্য, কিন্তু এ হামলার সাথে ইন্টু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জড়িত নন। এ বিষয়ে ক্ষুদ্র শিল্পের দুজন কর্মচারী একই মতামত তুলে ধরে বলেন, ওই দিন রাতে তাদের মালিক তাদের সাথেই কাজ করছিলেন। অহেতুক মিথ্যা মামলায় কামরুল ইসলাম ইন্টু ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহআলম বলেন, ভোরে আমার বাড়ির সামনে আবুল হাসমেকে দেখতে পাই। এসময় তিনি পানি চাইলে পানি দেই এবং তাঁর বাড়ির লোকজনকে খবর দেই। কিন্তু এসময় তিনি কোন হামলাকারীর নাম বলেননি।
অপরদিকে আবুল হাসেমের বোন রেজিনা জানান, তাঁর বড় ভাইকে হাসপাতালে দেখতে গেলে তিনি হামলাকারীদের নাম বলেছেন। তবে কামরুল ইসলাম ইন্টুর পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
সরকরি কর্মচারি কামরুল ইসলাম ইন্টু বলেন, চক্রান্ত করে আমাদের জমি-জমা জোর পূর্ব দখলে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা আমাদেরকে হয়রানি করছে। আমরা এর সু বিচার চাই।