কুয়েল ইসলাম সিহাত, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জামায়াত কর্তৃক এক বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সাহাদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত ও হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে দেবীগঞ্জ–ভাউলাগঞ্জ সড়কে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়ন ও দেবীগঞ্জ চিলাহাটি ইউনিয়নের সর্বস্তরের সচেতন নাগরিক এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় ৫ শতাধিক জনতা এতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তৌকীর আহম্মেদ তুহিন, সাধারণ সম্পাদক ও চিলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ এবং বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক রইসুল ইসলাম লিটন, বড়শশী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন এবং চিলাহাটি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ফরিদুল ইসলাম সহ অন্যরা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী, তারা কখনো এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে না। যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় না আনা হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ভাউলাগঞ্জ বাজারে রাজনৈতিক তর্কের এক পর্যায়ে জামায়াত কর্মী সোহেল মাহমুদ (৩৫) মুক্তিযোদ্ধা এস এম. শাহাদুল ইসলাম (৮০)-এর ওপর হামলা চালান।
এ ঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে মুক্তিযোদ্ধা শাহাদুল ইসলাম বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জামায়াত কর্মী সোহেল মাহমুদসহ তার দুই সহযোগী হাসিবুল ও রইসুলের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত সোহেল মাহমুদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাউলাগঞ্জ সাংগঠনিক থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা বলেন, জামায়াতের ওই কর্মী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খালেদ জিয়াকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য (কটূক্তি) করছিলেন সোহেল মাহমুদ। আমি এর প্রতিবাদ জানান। এ নিয়েই তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে জামায়াত কর্মী সোহেল মাহমুদ ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে এবং তার কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
অন্যদিকে অভিযুক্ত সোহেল মাহমুদ দাবি করেন, তিনি (মুক্তিযোদ্ধা) জামায়াতে ইসলামী নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন। আমি প্রতিবাদ করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়।
এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, শাহাদুল ইসলাম নামে একজন অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।