পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:দেবীগঞ্জ পৌর এলাকার বাজারের ভিতরে চেম্বার নিয়ে গরীব অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন আবু হানিফ। তার বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের পাটোয়ারীপাড়ায়। সে মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে।
দেবীগঞ্জ বাজারের ভিতরে তার একটি চান্দিনা ভিটা রয়েছে। যার মৌজা নম্বর ৫৪ দাগ নস্বর ৪৮৭ ও চান্দিনা ভিটার পরিমান ৮ দশমিক ১৭ মিটার। সেটি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। চান্দিনা ভিটাতে চেম্বার দিয়ে প্রায় ৪৬ বছর থেকে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন আবু হানিফ। তার দোকানের লাইন্সেসের ফি প্রতি বছর পরিশোধও করেছেন। তার দোকানের মালিকানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল হোসেন সরকার। তিনি দেবীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে দখলস্বত্ব নিশ্চিত করে আবেদনের তদন্ত প্রতিবেদনও দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপ্লব কুমার সাহা ৪৮৭/৬৩২ নং দাগে ৩ তলা ভবন নির্মান করেছেন। ওই দাগের সংলগ্ন সরকারি ৪৮৭ দাগে ১ দশমিক ৭১ একর দেবীগঞ্জ চান্দিনা হাটের চান্দিনা ভিটির পেরিফেরীভুক্ত জমি থাকায় ৬১৭ দশমিক ৫ বর্গফুট জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছেন। ওই অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবীগঞ্জকে ২৩ সেপ্টেম্বর নোটিশ দেন। তারপরেও মৃত বংকেষ কুস্র সাহার ছেলে বিপ্লব কুমার সাহা অবৈধ খুটির জোরে এখনো অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেননি। বিপ্লব কুমার সাহা নামের ওই ব্যক্তি চান্দিনা ভিটাটি দখল করে নেয়ার উদ্দেশ্যে নতুন করে চান্দনা লাইসেন্স নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি দোকানের মালিকানা দাবি করে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে মামলাও করেছেন। যার নম্বর ছিল ৮৫/২২। পরে আদালতের দো তরফা শুনানীর মাধ্যমে তার মামলাটি নামন্জুর করা হয়। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তদন্তে জানা যায়, ওই দাগে বিপ্লব কুমার সাহার কোন জায়গা নেই।
পল্লী চিকিৎসক আবু হানিফ বলেন, আমি এখানে ৪৬ বছর থেকে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছি। এটি আমার লাইসেন্স পাওয়া চান্দিনা ভিটা। আমাকে দোকান থেকে উচ্ছেদের জন্য বিপ্লব কুমার সাহা হুমকি দিচ্ছে। আমার নামে সব সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, আমি ৬ শতকের রেকর্ডিও মালিক। ৬৫ বছর থেকে ওই জমি আমাদের দখলে রয়েছে। সাড়ে ৫ শতক জমি আমার দখলে আছে আর হাফ শতক হানিফ ও শ্যামলের দখলে আছে। আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছি। বর্তমানে ওই জমির উপর ইনজেশন জারি করা আছে।ডাঃ হানিফ সদর ইউনিয়নের তহসিলদার ও সার্ভেয়ারকে ম্যানেজ করে দেড় শতক জমি পৈত্রিক সম্পত্তি খাস দেখিয়েছে।দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল হোসেন সরকার জানান, ওই জমিটি ১নং খাস খতিয়ানের আওতাযভুক্ত।ডাঃ হানিফ দখল সুত্র ও লাইসেন্স সুত্রে দোকানের মালিক। সরজমিনে তদন্ত করে আমি প্রতিবেদন দাখিল করেছি।