1. alamgirhossen6085@sokalerkhobor24.com : alamgirhossen6085 :
  2. dinislam1144@sokalerkhobor24.com : Din Islam : Din Islam
  3. litonakter@sokalerkhobor24.com : litonakter :
  4. nalam.cht@sokalerkhobor24.com : nalam.cht :
  5. info@sokalerkhobor24.com : sokalerkhobor24 :
  6. admin@sokalerkhobor24.com : unikbd :
দুমকির জনপ্রিয় ও জনবান্ধব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সাইফুল আলম মৃধা | সকালের খবর ২৪
রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পঞ্চগড়ে জাকের পার্টির সাংগঠনিক জনসভা-র‍্যালী অনুষ্ঠিত ‘পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন আটকে যাবে’—এনএসআই পরিচয়ে তুর্কি নাগরিককে হুমকি, অতঃপর রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচিত সরকার জরুরী-মহসিন রশীদ শরণখোলায় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যাঃ উপ- আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন ভিসি- ড.এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ‎পাঁচবিবিতে বাগজানায় ধানের শীষে ভোট চাইলেন এমপি প্রার্থী মাসুদ রানা প্রধান মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলাকে তরাণ্বিত করতে হবে- সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু জেলা প্রেস পটুয়াখালী’র নির্বাচনে মশিউর রহমান সভাপতি,সাঃ সম্পাদক রিয়াজুর রহমান নির্বাচিত শ্রীনগরে উপজেলা মহিলাদলের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছার উপহার বিতরণ আত্রাইয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন কয়রায় যুবদল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

দুমকির জনপ্রিয় ও জনবান্ধব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সাইফুল আলম মৃধা

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩৫ বার পঠিত

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃপটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার রাজনীতিতে সাইফুল আলম মৃধা আজ এক সুপরিচিত নাম। সততা, ত্যাগ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা তাকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে বিশেষ আসনে বসিয়েছে। রাজনীতিকে তিনি কখনো ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেননি; বরং জনসেবা ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাকে রাজনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি একাধিকবার নেতৃত্বের দায়িত্বে থেকে যে নিষ্ঠা, সাহস ও ন্যায়পরায়ণতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা তাকে একজন সৎ, যোগ্য ও জনবান্ধব রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

শেকড়ের গল্প ও পারিবারিক উত্তরাধিকার :
সাইফুল আলম মৃধা ১৯৭৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম হযরত আলী মৃধা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সাত ভাইবোনের পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় স্থানীয়ভাবে এটি ‘বিএনপি পরিবার’ হিসেবে পরিচিত। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির আবহ ও ত্যাগের শিক্ষা তার বেড়ে ওঠায় প্রভাব ফেলেছিল।

ছাত্ররাজনীতির শুরু ও নেতৃত্বের পথচলা : সাইফুল আলম মৃধার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ছাত্রজীবনে। ১৯৯২ সালে তিনি দুমকি উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তরুণ বয়সেই তার সংগঠক দক্ষতা, সততা ও ত্যাগের মানসিকতা তাকে আলাদা পরিচিতি এনে দেয়। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে এক নতুন উদ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নেন। দশকের পর দশক ছাত্ররাজনীতিতে কাজ করতে গিয়ে তিনি শিখেছিলেন সংগঠন গড়ে তোলার কৌশল, কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি এবং জনসাধারণের স্বার্থে রাজনীতিকে ব্যবহার করার পাঠ। এই অভিজ্ঞতা তার পরবর্তী মূল রাজনীতির জন্য ভিত্তি তৈরি করে।

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে : ২০০২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি দুমকি উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশ, মামলা-হামলা ও হয়রানির মাঝেও তিনি নিজের সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে দলের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। সংগঠন পরিচালনায় তার দৃঢ় নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং তৃণমূল পর্যায়ের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তাকে নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা, সাহসী ভূমিকা ও সুসংগঠিত নেতৃত্ব তাকে এই পদে বারবার নির্বাচিত করেছে।

জনপ্রতিনিধি হিসেবে সফলতা : ২০১৩ সালে দুমকি উপজেলার ৫নং শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাইফুল আলম মৃধা। নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন তার জনপ্রিয়তার স্পষ্ট প্রমাণ বহন করে। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উদ্যোগ, কৃষক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো এবং প্রশাসনের সঙ্গে সেতুবন্ধন রচনার মাধ্যমে এলাকায় উন্নয়নের গতি বাড়ান।

গণমানুষের পাশে সবসময় : ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর অর্থাৎ ৫ আগস্টের পর তিনি এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বাজার ও স্ট্যান্ডে গিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে বলেন, যদি কেউ চাঁদা দাবি করে বা ব্যবসায়ে বাধা দেয়, তবে তাদের বেঁধে রেখে বিএনপি নেতাদের খবর দিতে। তার এই বক্তব্য ও অবস্থান সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার আলো ছড়ালেও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এতে ক্ষুব্ধ হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধেই শুরু হয় নানা মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার।

এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছি। জনগণের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ আমি করতে দিইনি, দেবও না। যারা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।”

কারাবরণ ও রাজনৈতিক নির্যাতন : একজন ত্যাগী রাজনীতিক হিসেবে সাইফুল আলম মৃধাকে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও রাজনৈতিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তবে এসব কিছুই তাকে দমাতে পারেনি। বরং প্রতিবারই তিনি আরও দৃঢ় হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

ব্যক্তিগত গুণাবলি : সাইফুল আলম মৃধার রাজনৈতিক জীবনের শক্ত ভিত তার ব্যক্তিগত গুণাবলির মধ্যেই নিহিত। সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতা, দৃঢ় নৈতিকতা ও চরিত্রের দৃঢ়তা, বিনয়ী, সহজ-সরল ও মানুষের কাছে পৌঁছানোর মানসিকতা। ব্যক্তিগত জীবনে সাদাসিধে জীবনযাপন। পরিবার, সমাজ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল

রাজনৈতিক গুণাবলি : জনসেবাকে রাজনীতির মূল লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার। যোগ্য নেতৃত্ব ও দল পরিচালনার দক্ষতা। সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা। উন্নয়নমূলক কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ। স্বচ্ছ নির্বাচন, জনগণের মতামত ও সমর্থনকে মূল্য দেওয়া। বিরোধী মতের প্রতি সহিষ্ণুতা ও গণতান্ত্রিক চর্চা।

সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের গুণাবলি: দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার সক্ষমতা। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সমান যোগাযোগ। তরুণ প্রজন্ম ও কর্মীদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা। সংকটময় সময়ে সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ
। দেশপ্রেম ও ত্যাগের মানসিকতা। সামাজিক ও জনবান্ধব গুণাবলি। দরিদ্র, অসহায় ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানো। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও কর্মসংস্থানে বিশেষ ভূমিকা। জনদুর্ভোগে তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়া। সমাজের সেতুবন্ধন তৈরি করা। উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগী হওয়া।

আদর্শিক গুণাবলি : দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করা।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা।

জনগণের দৃষ্টিতে : এলাকাবাসীর মতে, সাইফুল আলম মৃধা একজন সৎ, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। বরং প্রতিটি মুহূর্তে তিনি জনগণের অধিকার রক্ষায় সক্রিয় ছিলেন। তাদের দাবি, মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।

দুমকি উপজেলার রাজনীতিতে সাইফুল আলম মৃধার নাম আজ জনগণের আস্থার প্রতীক। সততা, সাহস, ত্যাগ ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি রাজনীতিকে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করেছেন। বর্তমানের নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের মাঝেও সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং বিশ্বাস তাকে আরও দৃঢ় করছে। জনতার ভরসার এই নাম ভবিষ্যতেও গণতন্ত্র, অধিকার ও উন্নয়নের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে—এমনটাই প্রত্যাশা এলাকার মানুষের।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সকালের খবর ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি ।
Developed By UNIK BD