আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্টাফ রিপোর্টার :
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীরের মধ্যে দিয়ে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর ) থেকে দূর্গা দেবী ষষ্টাদি দেবির বোধন ও আমন্ত্রণ দিয়ে শুরু হয়েছে এই মহা আনন্দের আয়োজন। ৫ দিন ব্যাপী এই আয়োজনের বুধবার (৩০ অক্টোবর) মহানান্দময়ী মহাঅষ্ঠমী সর্ম্পন্ন হয়েছে আজ মহানবমী ।
এ উৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মবলম্বীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক আনন্দ- উল্লাস। মণ্ডপে মন্ডপে ভক্তদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পূজা মন্ডপ গুলোকে দৃষ্টি নন্দিত সাজানো হয়েছে। রায়পুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি হরিপদ পাল ও সাধারণ সম্পাদক বলরাম মজুমদার এ প্রতিনিধিকে জানান, উপজেলাব্যাপী প্রতিটি মন্ডপে একযোগে পূজা উদযাপিত হচ্ছে আমাদের এই পুজোকে ঘিরে কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কবস্থানে রয়েছে এবং আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন ।
অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দগণ এর সহযোগিতা ও আমরা পাচ্ছি। এদিকে বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা উদযাপন কমিটিও মন্দিরের দায়িত্বে থাকা শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মিহির কুমার রায়,রবীন্দ্র কর্মকার,দিলীপ ঘোষ দিলীপ বনিক, বাবুল গোপাল দেবনাথ, সুমন বনিক, শিবু বণিক,সুনীল ঘোষ, বামনী ইউনিয়নের হারাধন মজুমদান,ব্রজেস্বর মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দগন এ প্রতিনিধিকে জানান , পূজা শুরু থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করে যাচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা নিরাপত্তা বাহিনী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ,সামাজিক ব্যক্তিত্ব গণমাধ্যম কর্মী, ইসলামী দলগুলোসহ দলমত নির্বিশেষ আমাদেরকে আন্তরিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন ও পূজা মন্ডপ গুলোর নিরাপত্তা এবং সার্বিক খোঁজখবর নিতে সর্বদায় তৎপর রয়েছে।
এবারে রায়পুর উপজেলায় ১৩টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে। সনাতন ধর্মবলম্বীদের ধর্মীয় মতে শারদীয় দুর্গা পূজার মূল লক্ষ্য হালো প্রতিবছরে শ্রী শ্রী দুর্গা মা অশুভ শক্তিকে নিধন করতে ধরা ধামে পৃথিবীতে আগমন করেন। সেই কারণে শারদীয় উৎসব পালন করা হয়। আগামী বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর ) দেবীর দোলায় গমনের মধ্য দিয়ে কিংবা দেবী বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ মহা আনন্দময় শারদীয় উৎসব।