মো:তারিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ১০ বছরের এক স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণের মূল আসামি তামিমকে(১৮) গ্রেফতার করেছে জীবননগর থানা পুলিশ।
গতকাল বুধবার ( ৮ ই অক্টোবর) তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন হোসেনের বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসআই মিজান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ জীবননগর পৌর এলাকা থেকে তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ধর্ষণের শিকার হন। এরই ধারাবাহিকতায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক গয়েশপুর গ্রামের মামুন হোসেন ঘেনার পুত্র তামিম হোসেন(১৮) এর বিরুদ্ধে গত শুক্রবার( ৩রা অক্টোবর) জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে পলাতক ছিল তামিম। এরপর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার রাত আটটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাড়ির সামনে তামিম হোসেনের নানার বাড়ি। গ্রেপ্তারকৃত তামিম তার নানার বাড়িতে থাকে। একই এলাকায় থাকার সুবাদে তামিম হোসেন কৌশলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে তোলে।গত ২ অক্টোবর আনুমানিক রাত ১০ টায় ভুক্তভোগী প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বাইরে বের হলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা তামিম হোসেন স্কুল ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক গয়েশপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি তথা সোহরাব হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে একটি রুমের মধ্যে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এদিকে স্কুল ছাত্রীকে ঘরে না পেয়ে তার মা আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কান্নার শব্দ শুনতে পায়।পরে আসামী তামিম হোসেনের শয়নকক্ষ থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা জীবননগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
আর এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেফতারকৃত তামিম পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পৌর এলাকা থেকে তাকে আটক করি। আগামীকাল তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।