নুর কুতুবুল আলম, রাজশাহী জেলা : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন থাকলেও সিরিঞ্জ সংকটের খবর পাওয়া গেছে। ৫ অক্টোবর রবিবার সকাল এগারো’টার দিকে রামেকে সিরিঞ্জ না থাকায় বিপাকে পড়েন সেবা গ্রহণকারী শিশু, নারী-পুরুষরা।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পশ্চিম পাশে ৫ নম্বর কক্ষে বিনামূল্যে জলাতঙ্কের প্রতিশেধক দেয়া হয়। হঠাৎ ওই কক্ষের নার্সরা জানান, সরকারি ( ভ্যাকসিন পুশের) সিরিঞ্জ শেষ হয়ে গেছে। আপনারা লক্ষীপুর থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসুন।
এই সুযোগে দালাল চক্রের এক যুবক সিরিঞ্জ নিয়ে হাজির। বাজারে ১০ টাকার সিরিঞ্জ ২০ টাকায় বিক্রয় করতে দেখা গেছে । কেউ কেউ লক্ষীপুর থেকে থেকে ১০ ট্কা দিয়ে কিনে আনছেন। সকাল সাড়ে এগারো’টার দিকে ৫ নম্বর কক্ষে নারী পুরুষের লম্বা লাইন চোখে পড়ে। সিরিঞ্জ না থাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে লাইন।
ভদ্রা সেরিকালচার পূবালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, তাকে বিড়াল আঁচড় দিয়েছে। সেকারণে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রামেক হাসপাতালে এসেছেন। সিরিঞ্জ না থাকায় কিনে নিতে হচ্ছে।
বোয়ালিয়া উপশহর এলাকার একজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, লাইনে দাঁড়িয়ে যখন আমার সিরিয়াল আসে তখন জানানো হয়, সিরিঞ্জ সরবরাহ নেই। ক্রয় করে আনুন। পরে লক্ষীপুর থেকে ক্রয় করে আনতে গিয়ে আমার সিরিয়াল ব্রেক হয়। এটা এক প্রকার হয়রানি।
রানীবাজার মহল্লার আব্দুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, মেয়ে নুশরাত (৯) বিড়ালে কামড়িয়েছে। সেকারণে তিনি মেয়েকে টীকা দেয়ার জন্য হাসপাতালে এনেছেন। হয়রানি এড়াতে তিনি একসাথে চারটি সিরিঞ্জ ক্রয় করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলোতে জলাতঙ্কের প্রতিশেধক সরবরাহে নেই। যার কারণে মফস্বলের ভুক্তভোগীদের ভ্যাকসিন নিতে জেলা সদরে ছুটে আসতে হচ্ছে। মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভ্যাকসিন না থাকার খবর পাওয়া গেছে। বাগমারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইফুল্লাহ জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হটলাইনের কল দিলে জানানো হয়, সকালে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলে। তবে ওই সময়ের ইনচার্জ বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।