মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি,
ককসবাজরের রামুর কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়ায় মাঠ পর্যায়ে সারের তীব্র সংকট চলছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, একদিকে সার সংকট অন্যদিকে ধান ক্ষেতে মারাত্নক রোগ-পোকা। এরই মাঝে কৃষি অফিসের কোন প্রতিনিধিরা মাঠে না থাকায় দিশেহারা কৃষক কৃল। সব মিলে এখানকায় হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ সব অভিযোগ একাধিক কৃষকের।
কৃষকদের অভিযোগ,তারা কৃষি অফিসার মাঠে কম আসায় তারা তেমন চিনেন না। আর সারের অবস্থা আরো কাহিল। বিশেষ করে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের সার ডিলারদের কারও কাছে বর্তমানে সার নেই। গর্জনিয়াতেও কৃষকদের বেহাল দশা। এ দু’ইউনিয়নে মুল ডিলারের কাছে যা বরাদ্দ ছিল তাও বেশ আগে শেষ। যৎসামান্য সার আছে তাও শুধু ইউরিয়া। টিএসপি বা কালো সার,
এমওপি-লাল সার,ডিএ ই সার ও
টিএসপি তিউনিসিয়া নেই বললেো চলে।
তবে এ বিষয়ে রামু উপজেলা কৃষি অফিসার তানজিলা রহমান থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সার তো রামুতে মজুদ রয়েছে। আজ-কালের মধ্যে সার গর্জনিয়া বাজারের ডিলারদের কাছে যাবে।
এ বিষয়ে তিতার পাড়ার কৃষক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন আজ ১৫/২০ দিন ধরে সার নেই গর্জনিয়া বাজারে সাংবাদিকরা ফোন করার সাথে সার পৌঁছবে এ কেমন কথা।
অপর দিকে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের খুচরা সার ডিলার মাহবুব আলম,জামাল ট্রেডার্স,মোহাম্মদ ইসমাইলসহ অধিকাংশ সাব ডিলাররা এ প্রতিবেদককে বলেন তারা ১৫/১৬ দিন ধরে সার বিক্রি করতে পারছেন না। সার নেই। তারা রামু কৃষি অফিসারের সাথে দেখা করেও কাজ হচ্ছে না।
কৃষক মোহাম্মদ হুয়ায়ুন কবির বলেন,তিনি গত ২ দিন আগে পুরো গর্জনিয়া বাজার সার খুঁজে না পেয়ে হতাশায় ভোগছিলেন। ঠিক পর দিন তিনি ভোরে দেখছিলেন গর্জনিয়া বাজার একটি ডিলারের গোদাম থেকে ২০ টি মোটর বাইকে ২ টি করে সারের বস্তা মিয়ানমারে নিযে যাচ্ছিল।
অপর একাধিক বিশ্বস্থ সুত্র দাবী করছেন,
রামু ফকিরা বাজার থেকে প্রতিদিন গর্জনিয়া বাজার সড়ক ও ইদগড় সড়ক
দিয়ে শতশত বস্তা সার জীপ গাড়িতে করে গর্জনিয়া বাজার হয়ে মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে জনৈক আলম ও কৃষি অফিসের একজন কর্তার যোগসাজশে।
তারা আরো বলেন, রামুর যে গোদাম থেকে সার গর্জনিয়া বাজারে আনা হয় সে ডিলারের মালিক চাকমারকুল ইউনিয়নের সারের ডিলার মোহাম্মদ আলমের।
তিনি তার এলাকা ছেড়ে দীর্ঘ ৭ কিলোমিটার দুরের রামু ফকিরা বাজারে।
এ বিষয়ে ডিলার মোহাম্মদ আলম এ প্রতিবেদককে বলেন,এ সব অভিযোগ যারা করে তারা সারের গাড়ি ধরে ফেলুক।
অথবা বাধা দিক। এভাবে তিনি তার কাছে করা প্রশ্ন এডিয়ে যান।