

মোংলা প্রতিনিধি:কৃষি, খাদ্য ও মৎস্য উৎপাদনে কোন কর্পোরেট দখল এবং নব্য ঔপনিবেশিক শাসন-শোষন সহ্য করা হবেনা। সবার আগে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। খাদ্য, পানি এবং জমিতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। উপকূলের পরিবেশ বির্পযয় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলেছে। জলবায়ু উদ্বাস্তু রোধে উত্তরের দেশগুলোকে ঋণ নয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দেশে ন্যায্য জলবায়ুবান্ধব টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে মোংলার কাইনমারিতে চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম একথা বলেন।
উপকূলীয় নারী, বনজীবী, মৎস্যজীবী, ভূমিহীন, জলবায়ু উদ্বাস্তুসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষের অংশগ্রহণে খাদ্য, পানি এবং জমিতে নারীর অধিকার রক্ষার দাবিতে এ জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, বাদাবন সংঘ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এ জনসমাবেশের আয়োজন করে।বুধবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। জনসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষি অফিসার প্রশান্ত কুমার হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু হানিফ, সুন্দরবন জাদুঘরের পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাষ, বিএনপি নেতা এমরান হোসেন, বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ শাহ্ আলম শেখ ও নারীনেত্রী শামীমা আক্তার লাইজু। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম আরো বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলের ৬৪% মানুষ নিরাপদ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত। লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদন ও মৎস্য চাষে বিপর্যয় নেমে এসেছে। প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর ঘটাতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা কৃষি অফিসার প্রশান্ত কুমার হাওলাদার বলেন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কৃষিতে ভর্তুকি প্রদান করছে। কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। জলবায়ু সহনশীল কৃষি চাষাবাদে উপক‚লের প্রান্তিক চাষীদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।