1. alamgirhossen6085@sokalerkhobor24.com : alamgirhossen6085 :
  2. dinislam1144@sokalerkhobor24.com : Din Islam : Din Islam
  3. litonakter@sokalerkhobor24.com : litonakter :
  4. nalam.cht@sokalerkhobor24.com : nalam.cht :
  5. info@sokalerkhobor24.com : sokalerkhobor24 :
  6. admin@sokalerkhobor24.com : unikbd :
উলিপুুরে ৮ বছর ধরে ভেঙ্গে পড়া একটি সেতু, দেখার কেউ নেই-দুর্ভোগে হাজারো মানুষ | সকালের খবর ২৪
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৮ ডাকাত গ্রেফতারে পুলিশ’র প্রেস ব্রিফিং মোরেলগঞ্জে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির উদ্বোধন আখাউড়া পুলিশের অভিযানে প্রাইভেটকারে মাদক পাচারের নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৫ বিজেপিসির তথ্য বিষয়ক পলিসি অ্যানালাইসিস প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত নড়াইল-ঢাকা রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত নাগেশ্বরীতে কচাকাটা থানায় বিএনপি’র মত বিনিময় সভায় সাইফুর রহমান রানা বাইশারীতে ১০ বছরের মুসলিম শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বড়ুয়া যুবক আটক তারেক রহমানের ৩১ দফাই জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা: মোরেলগঞ্জে মনিরুল হক ফরাজি সুধারামে ধর্ষণ মামলার মূল আসামি র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্সে তালা ভেঙে ২১ লাখ টাকা চুরি, আসামি গ্রেফতার,নগদ অর্থ উদ্ধার

উলিপুুরে ৮ বছর ধরে ভেঙ্গে পড়া একটি সেতু, দেখার কেউ নেই-দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৭ বার পঠিত

মোঃ নূরবক্ত মিঞা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৮ বছর ধরে একটি সেতু ভেঙে পড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হলেও দেখার কেউ নেই, দুর্ভোগে পরেছেন শিক্ষাথীসহ হাজার হাজার মানুষ।
উপজেলা শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে তবকপুর ইউনিয়নের বড়ুয়া তবকপুর বাজারগামী পাকা সড়ক। এই সড়ক ধরে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে বড়ুয়া তবকপুর আমতল বাজার। বাজারের কাছে পাকা সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে যায় আট বছর আ‌গে। ২০১৮ সালের বন্যায় পানিতে পিলার ভেঙে সেতুটি উল্টে যায়। ফলে, সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেই থেকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ।
দীর্ঘ আট বছর ধরে চলাচলে এলাকাবাসী উলিপুর উপজেলা চিলমারী উপজেলার সাথে যোগাযোগে ভোগান্তিতে পরেছে। নারী-শিশু কিংবা রোগী কারও ভোগা‌ন্তি বি‌বেচনায় নেয়‌নি কেউ। এ নিয়ে হতাশার সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে বড়ুয়া তবকপুর হয়ে ইউনিয়নের রসুলপুর চুনিয়ারপার মোড় পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার পাকা সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর নির্মাণ করেন। সড়কের পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব অংশে বড়ুয়া তবকপুর বাজারের কাছে নির্মিত সেতুটি তৈরির চার বছর পর ২০১৮ সালে বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায়। সেতু সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় . সড়কের মাঝে যেন বিশাল ‘পুকুর’ সৃষ্টি হয়েছে। দুই পাশে আবাদি জমি বিলীন হয়েছে প্রায় এক একর।
উলিপুর প্রান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে মানুষজন এসে সেতুর উত্তর প্রান্তে নামছেন। কেউ ড্রা‌মের ভেলা ক‌রে আবার কেউ কৃ‌ষিজ‌মির আইল ধ‌রে অপর প্রা‌ন্তে পৌঁছা‌চ্ছেন। এরপর অবশিষ্ট পথ হেঁটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন। নারী-পুরুষ, শিশু কিংবা ব্যবসায়ী সবাইকে একই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যানবাহনহীন পরবর্তী তিন কিলোমিটার পথে ভোগান্তি আর দুর্ভোগ পোহাতে হয় সবার।
শিক্ষাথী আরিফ হোসেন বলেন, যখন বেশি পানি হয় তখন ভয় লাগে কখন জানি পানিতে পরে যাই। মাঝে মাঝে স্কুলে যাই না।
স্থানীয় রাহেনা বেগম(৫৫) বলেন, সেতুটি কয়েক বছর ধরি এ ভাঙ্গি পরি আছে কাউয়ো দেখে না গর্ভবতী ও অসুস্থ মহিলাকে নিয়ে যাওয়া যায়না। অনেকেই আবার বেশি অসুস্থ হলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বরুয়া তবকপুর এলাকার শহিদুর রহমান (৭০) বলেন,কি ভাবে ব্যবসা করমো সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় মালামাল নিয়ে যাওয়া আসা সমস্যা হচ্ছে। কয়েক দিন যাওয়ার সময় পানিতে পরে গেছি।
অটোচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, আট বছর ধরে সেতু ভেঙে পড়ে আছে। চলাচল করা যায় না। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। লোকজন পারাপারে সমস্যা হয়। মালামাল পরিবহন করতে পারে না। একজন যদি অসুস্থ হয় তার চিকিৎসা করাতে একটা যে অ্যাম্বুলেন্স আসবে, সে উপায়ও নাই। ১৫-১৬ কিলোমিটার ঘুরে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া লাগে। তখন ওই রোগীটার কী অবস্থা হয় বোঝেন।’
সবাই আসে আর দেখি যায়। আমাদের সেতুটা ভালো করি দেয় না।
শাহাজাহান মিয়া কাছু (৬০) বলেন সেতুটি আট বছরের বেশি সময় ধরে এই ভোগান্তি। সেতুটা হইলে আর সমস্যা থাকে না। দুই পাশে পাকা রাস্তা। খালি সেতুটা ঠিক হইলে হয়। প্রতিদিন মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। এমন একটা অবস্থা যে এই পাশে আসলেও কষ্ট, ওপাশে গেলেও কষ্ট। সেতু থাকলে গাড়ি চলতো। এত বছর ধরে সেতুটা ভেঙে পড়ে আছে। দেখার কেউ নেই, ভোগান্তি শেষ হয় না।’
স্থানীয় বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘এই পথে তবকপুর ও চিলমারীর থানাহাট ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত করে। ২০১৮ সালে এটি ভেঙে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান, এমপিসহ অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেতু নির্মাণসহ সড়কের অংশটি মেরামতের জন্য অনেক চেষ্টা-তদবির করা হয়েছে। এই সড়ক ধরে আমার স্কুলে অনেক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। অনেক ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের যেতে হয়। ড্রামের ভেলা দিয়ে চলাচল করতে হয়। আজ আট বছর ধরে এই ভোগান্তি চলছে।’
উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার জানান, নতুন করে সেতুর প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে । বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সকালের খবর ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি ।
Developed By UNIK BD