সোহেল সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদাদতা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় তদন্তের মুখে থাকা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স টাস্কফোর্সের (সিটিআইবি) সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে ধরতে দেশের পূর্বাঞ্চল সীমান্তের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত এলাকায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সীমান্তে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সর্বোচ্চ টহল জোরদার রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পলাতক মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে ধরতে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও। তাকে ‘ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট’ (অবৈধভাবে অনুপস্থিত) ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক সদস্যদের মামলাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
জানা গেছে, গুম সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে ‘ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট (অবৈধভাবে অনুপস্থিত)’ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য তাকে ধরতে দেশের পূর্বাঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াসহ সকল সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ ওসি আব্দুস সাত্তার বলেন, গেল বছর ৫ আগস্টের পর থেকেই আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে খুবই সতর্কতার সঙ্গে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাচাই-বাছাই করে পারাপার করা হচ্ছে। এ পথে কোন অপরাধীই যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে ইমিগ্রেশন পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ৬০ বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মো. মনির হোসেন বলেন, সীমান্তে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
প্রসঙ্গত, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১০ অক্টোবর তাকে সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ডিজিএফআই, এনএসআই এবং বিজিবিকে নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনী।