

মোঃ ছাইফুল ইসলাম জিহাদ হাতিয়া প্রতিনিধি:
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারের সাগরে নেমেছে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা । মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ভালো মাছ পাওয়ায় ঘাটে ফিরে এসেছে অনেক জেলে। কর্মচঞ্চল্যতা ফিরেছে ইলিশ ঘাট গুলোতো।
সকালে উপজেলার বুড়িরচর সূর্যমুখী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাপারী মাছ বেচাকেনায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন। ঘাটের শ্রমিকরা টুকরি ভর্তি মাছ মাথায় বহন করে নিয়ে আসছে বাজারে। আর ব্যাপারিরা সেই মাছ ডাকে তুলে বিক্রি করছেন। ব্যাপারি, পাইকারদের হাঁক ডাকে সরগরম হয়ে উঠছে প্রত্যান্ত অঞ্চল।
সূর্যমুখী ঘাটর মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন জানান, খুব ভোর থেকে এই বাজারে মাছ বেচাকেনা শুরু হয়েছে। জেলেরা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নদী থেকে ভালো মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। তাদের জালে ভালো মাছ ধরা পড়েছে।
স্থানীয় আব্দুল কাদের নামে একটি জেলে নৌকার মাঝি বলেন, রাত ১২ টার পর নদীতে গেছেন। সকালে ঘাটে ফিরে এসেছেন। তাতে তিন মন মাছ পেয়েছেন। আকারে অনেক টা ছোট মাছের পেলেও মূল্য ভালো থাকায় ভালো লাভ হয়েছে।
কাদের আরো জানান এখন আবার নদীতে চলে যাবেন। বিগত দিনে মাছ ধরায় লাভের মূখ দেখতে পাননি। এভাবে এক সপ্তাহ মাছ পাওয়া গেলে বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ভালো লাভ হবে বলে আশা করেন তিনি।
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় নিয়ে অভিযোগ ছিল জেলেদের। ৪ অক্টোবরের পরিবর্তে নিষেধাজ্ঞা ১৩ই অক্টোবর থেকে শুরু করার দাবি ছিল তাদের। নিষেধাজ্ঞার আগে ভালো ইলিশ পাওয়ায় এমন দাবি তুলেছিলেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার ওই সময় ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসন ঠেকাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও দাবি করেছিলেন তারা।
সবশেষে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ৪ অক্টোবর বিকেলেই ঘাটে ফিরে আসে নোয়াখালী জেলেরা। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার মধ্যরাতে জেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে মাছ ধরতে সাগরে যায় জেলেরা। চলতি মৌসুমের শুরু থেকে কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ায় জেলেদের মধ্যে যে হতাশা ছিল প্রথম দিনে ভালে মাছ পাওয়ায় সেটি কিছুটা কেটে উঠেছে। এভাবে মাছ মিললে অতীতের ক্ষতিগ্রস্ত পুষিয়ে নিতে পারবে এমনটা আশা করছেন জেলেরা।