

স্টাফ রিপোর্টার আলিফ হোসেন:মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় মহিলাকে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহিদ দেওয়ান ও মোরশেদা বেগম এর বিরুদ্ধে। গত সোমবার বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে মোরশেদা বেগমের কাছে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম গেলে সে পাওনা টাকা না দিয়ে মাধর ও গালিগালাজ করে। এ বিষয়ে সেলিনা বেগম বাদী হয়ে লৌহজংয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লৌহজংয়ের খিদিরপাড়া এলাকার মৃত আলতাজ উদ্দিনের ছেলে সহিদ দেওয়ান, তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম ও তার ছেলে সাজিদ হাসান এবং সাফিন দেওয়ান মিলে সেলিনা বেগমকে গালিগালাজ ও মারধর করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। লৌহজং সাব-রেজিস্ট্রার অফিস অধীন পয়সা মৌজায় এস.এ-২৩৭, আর.এস-৮৭৪নং খতিয়ানে সাবেক ২১০নং দাগে এক শতাংশ জমি একশত পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বায়নাপত্রের দলিল মূলে উলেখিত তারিখ হইতে পরবর্তী ২ মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে নগদ চার লক্ষ টাকা নেন এবং ০৬/০২/২০২২ইং তারিখে লৌহজং সাব-রেজিস্ট্রী অফিস অধীন হালে ৫৯নং পয়সা মৌজা স্থীত আর.এস-২১০ ও ২১২নং খতিয়ানে আর.এস-৭৭৮নং দাগে ১.৫ শতাংশ জমি তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র বা অঙ্গিকারনামা দলিল মূলে ফেরত দেওয়ার শর্তে আরো চার লক্ষ টাকা নেয়। এছাড়াও ৩নং বিবাদী সাজিদ হাসান বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নগদ টাকা প্রয়োজন হলে আমার নিকট নগদ টাকা না থাকায় আমার স্বামীর দেয়া দুই ভড়ি স্বর্ণ দেই যাহা বালিগাঁও বাজারের স্বর্ণের দোকানে বন্ধক রেখে নগদ টাকা নেয় ১নং ও ২নং বিবাদী। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলোও আমার টাকা ও স্বর্ণ দেই-দিচ্ছি বলে আদৌ দেওয়ার নাম-গন্ধ নেই। বর্তমানে আমি আমার টাকা ও স্বর্ণ ফেরত চাহিলে ২নং বিবাদী আমার টাকা ফেরত দেবে না মর্মে হুমকি দেই এবং ২নং, ৩নং ও ৪নং বিবাদী বলেন তুই আমাদের কাছে কোন প্রকার টাকা পয়সা পাবি না, ফের যদি টাকা চাহিতে আসিস তুকে মেরে লাশ পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দিব। এ বিষয়ে মোরশেদা বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তার পাওনা টাকা দিয়ে দিছি তবে স্বর্ণ এর টাকা পাবে। আমি তার কাছে সময় চেয়েছি কিন্তু আমি কোন মারধর করি নাই। এ বিষয়ে লৌহজংয়ে থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।