

স্টাফ রিপোর্টার: যুবলীগের নামে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য ব্যানার তৈরির সময় যশোরের একটি ছাপাখানা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন ছাপাখানার মালিক এবং অন্যজন যুবলীগের পলাতক এক নেতার কর্মচারী। পুলিশ দাবি করেছে, বিক্ষোভের আড়ালে মূলত নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এসব ব্যানার তৈরি করা হচ্ছিল।বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আই এন বি ডিজিটাল নামের একটি ছাপাখানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,দেবু মল্লিক: যুবলীগের পলাতক নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুলের কর্মচারী।নাহিদ ইসলাম: ছাপাখানার মালিক।এ সময় ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর’ এবং ‘অবৈধ আইসিটি আইন বন্ধ কর’ লেখা কয়েকটি ব্যানার জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত ব্যানারগুলোতে বিক্ষোভের আয়োজক হিসেবে আনোয়ার হোসেন বিপুল-এর নাম লেখা রয়েছে। তিনি যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা। শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি পলাতক রয়েছেন।অভিযোগ রয়েছে, বিপুল যশোর-৩ আসনের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে এলাকায় ‘ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছিলেন। কিশোর গ্যাং তৈরি করে তাদের হাতে মাদক ও অস্ত্র তুলে দেওয়ারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার হওয়া দেবু মল্লিক বিপুল-এর কর্মচারী হিসেবে তার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ ও তাদের লোকজন পরিচিতদের দিয়ে এসব অপকর্ম সংঘটিত করার চেষ্টা করছে। যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল-এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের সঙ্গে ডিবি ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একাধিক টিম এই অভিযানে অংশ নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি রাখছে।