

রফিকুল ইসলাম রনজু (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা এবং কচাকাটা থানা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-১ আসন। জাতীয় সংসদের ২৫ নম্বর আসন এটি।
৩০ বছর ধরে হাত ছাড়া আসনটিতে বিগত নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আলহাজ্ব সাইফুর রহমান রানা বিপুল ভোটের মাধ্যমে জিতে গেলেও, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রশাসন বিজয় কে ছিনিয়ে নিয়েছে বারবার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার আসনটি পুনরুদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছেন বারবার ষড়যন্ত্রকারীদের কবলে পরা, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক এবং ২৫ কুড়িগ্রাম-১ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি আলহাজ্ব সাইফুর রহমান রানা।
আসনটিতে মনোনয়ন নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকলেও নেতাকর্মীদের মাঝে ইতিমধ্যেই প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। নেতাকর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষের একটাই কথা, বিগত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে তথা রাজপথে নিবেদিত প্রাণ এবং শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিককে মনোনয়ন দিলে, বিপুল ভোটের মাধ্যমে বিএনপি জয়লাভ করবে বলে তারা মনে করেন। সেক্ষেত্রে তাদের কাছে এক নম্বরে জায়গা করে আছেন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মূর্তিমান আতঙ্ক, রাজপথের লড়াকু সৈনিক, এবারও বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব সাইফুর রহমান রানা।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ সাইফুর রহমান রানার জনপ্রিয়তায় সাড়া দিয়ে, বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলোর সভা-সমাবেশে নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। প্রতিটা সভা-সমাবেশ হয়ে যায় লোকে-লোকারণ্য। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাইফুর রহমান রানা মনোনয়ন পেলে, বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয় লাভ করবে। তবে তারা আরো বলেন, আমরা বিভেদ চাই না ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। আমাদের কথা – ধানের শীষ যার, আমরা তার।
এদিকে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী আরো কয়েকজন ছুটে চলেছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। তারা হলেন, – নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক গোলাম – রসুল রাজা, ড্যাব নেতা ডা. মোঃ ইউনুস ও ডা. মারুফ। তারা – সবাই মনোনয়নের ব্যাপারে পূর্ণ আশাবাদী।
প্রকাশ থাকে যে, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েও, সংসদ সদস্য হিসেবে পূর্ণ মেয়াদ পূরণ করতে পারেনি। এ আসনে এবারও তিনি মনোনয়নের ব্যাপারে পূর্ণ আশাবাদী।