

মোঃ কামরুজ্জামান হেলাল, স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ১৫ অক্টোবর ববুধবার বিকেলে পটুয়াখালীর ঝাউবন এলাকার ফোর লাইন সড়কে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী’র সহযোগিতায় ও পৌরসভা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পটুয়াখালী
শহরের নিউমার্কেট, পুরান বাজার, বাসস্ট্যান্ড, সদর রোড, ঝাউবন, লঞ্চঘাট, সবুজবাগ মোড়, তিতাস মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে মাসব্যাপী। এ কর্মসূচির আওতায় ১০০০ হাজারেরও বেশি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।এসময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী পৌরসভার সচিব মাসুম বিল্লাহ, পৌর মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম একরামুল নাহিদ ও পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি নওশিন আফরোজ হিয়া, রেসকিউ অ্যান্ড রিলিজ উইং প্রধান আসাদুল্লাহ হাসান মুসা, বন্যপ্রাণী উদ্ধারকর্মী আবদুল কাইয়ুম, গলাচিপা টিম লিডার সোহেল হোসেন রাসেল, কলাপাড়া সহকারী টিম লিডার ইউসুফ রনি এবং দুমকী টিম লিডার সাইফ আহমেদ তন্ময়। পটুয়াখালী পৌর সভার প্রশাসক মোঃ জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, কুকুর যাতে জলাতঙ্কে আক্রান্ত না হয় এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, এজন্য প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছি।
রেসকিউ অ্যান্ড রিলিজ উইং প্রধান আসাদুল্লাহ হাসান মুসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পৌরসভার সঙ্গে সমন্বয় করে কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে কুকুরদের টিকা দিচ্ছি। এর আগেও আমরা প্রাণীকল্যাণমূলক অনেক কাজ করেছি। প্রায়ই রাস্তায় আহত বা অসহায় প্রাণীদের উদ্ধার করি। এবারও নিজেদের খরচে ও উদ্যোগে টিকাদান কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছি।’
পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেওয়ারিশ ও পালিত কুকুরদের জলাতঙ্ক থেকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। টিকা দেওয়ার পর প্রতিটি কুকুরকে লাল রঙের চিহ্ন দিয়ে শনাক্ত করা হচ্ছে, যাতে একই কুকুরকে পুনরায় টিকা না দেওয়া হয়।’