

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান আব্দুল মালেক হত্যা মামলার আসামী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত থাকার কারণে দীর্ঘদিন ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকায় অত্র ইউনিয়নের সাধারণ জনগনের দৈন্যদিন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, স্থানীয় সরকার শাখার নীতিমালায় জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম অত্র ইউনিয়নের ৪নং ওযার্ড সদস্য ও ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেনকে দিওড় ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য দায়ীক্তপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ভাবে প্রতিপক্ষের মিথ্যে অপমান ও অপদস্তের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একটি হত্যা মামলার আসামী থাকায় দীর্ঘদিন গ্রেফতারী পরোয়ানা থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে ছিলেন। এসময় অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সকল কর্ম-কান্ড মুখ থুবড়ে পড়ে। ইউনিয়ন পরিষদের জন-সাধারণের সেবা, আর্থিক ও প্রশাসনিক কর্ম-কান্ড সুচারু ভারে পরিচালনার স্বার্থে ১২ জন (পুরুষ ও মহিলা) সদস্য একযোগে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান থাকায় আমার নাম স্থানীয় সরকার প্রশাসনের প্রশাসনিক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নিকটে লিখিতভাবে প্রস্থাব করলে তা মঞ্জুর হয়। সেই ধারা বাহিকতায় জেলা প্রশাসক দিনাজপুর রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ০৫.৫৫.২৭০০.০০৯.০৭.০২৬.২৫.৫৬৫ স্মারকর ও সূত্র: স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪৬.০০.০০০০.০০০.০১৭.৯৯.০০৪৪.২২-৬৮৪ স্মারকে আদেশ প্রদান করে, আমাকে অত্র পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
সেই থেকে পরিষদের সকল সদস্যদের নিয়ে সম্মতি ভাবে আমি প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করে আসচ্ছি। চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল তাঁর কার্যালয় দাবী পূর্বক কক্ষে প্রবেশ করে তাঁর চেয়ারে বসছেন। এতে করে পরিষদের কাজ পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, চেযারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও চরিত্র বিকৃত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন গণ-মাধ্যম কর্মিদের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে আমাকে সমাজিক ভাবে কুলশীত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত প্রতিকার চেয়েছেন।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডলের নিকট জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি জনগনের ভোটে বিজয়ী চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আমার কক্ষে যেতে পারবো না এমন নীতিমালা জারি আছে বলে আমার জানা নেই। তবে আমি কখনও অত্র পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করি নাই।
পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, সাময়িক স্থগিত ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর কার্যালয়ে এসে নিজ কক্ষে বসেন। তিনি আসতে পারবেন কি না এই নীতিমালা আমার জানা নেই।
১নং ওয়ার্ড সদস্য একলাছুর রহমান জানান, আমরা অত্র পরিষদের সকল সদস্য ও মহিলা সদস্যা সকলে মহামিলে প্যানেল চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেনের সাথে পরামর্শ করে এক হয়ে কাজ করছি। কোন বিশৃংঙ্খলা ছাড়াই আমরা সকলেই ভালো ভাবে পরিষদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
ইউনিয়নের দুধীয়াগাছি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম মিয়া জানান, প্যানেল চেয়ারম্যান কার্যালয়ে কেউ কাজ নিতে এসে ফিরে যায়নি। ইউনিয়ন পরিষদ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসচ্ছে।এলাকার সর্বস্থরের সচেতন মহর উপজেলার দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের অহেতুক মিথ্যা ও হয়রানি মুলক কর্মকান্ড বন্দের জন্য দ্রুত তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।