

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিংয়ের একটি প্লটের দেয়াল ভাঙার অভিযোগে আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হাসান জীবন ওরফে লেদু হাসানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে মামলার বাদী মোহাম্মদ সোলায়মান দাবি করেছেন,তিনি স্বেচ্ছায় নয়— চন্দ্রিমা মডেল হাউজিং কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই মামলা দিয়েছেন।
মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন,’চন্দ্রিমা হাউজিংয়ের এই জায়গা নিয়ে আনার চাচার সঙ্গে বিরোধ চলছিল। চাচা বিএনপি করার কারণে জায়গাটি হাউজিংয়ের তৎকালীন এমডি সারোয়ারের কাছে বিক্রি করে দেন।
‘৫ই আগস্ট পরে সরকার পরিবর্তনের পর আমরা হাউজিংয়ের শরণাপন্ন হই। তারা আমাদের দখলে যেতে বলে। তাদের অনুমতিতেই গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমরা দেয়াল নির্মাণ শুরু করি। কিন্তু রাতের অন্ধকারে দেয়ালটি ভেঙে ফেলা হয়।’
তিনি আরও বলেন,আমাদের আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হাসান জীবন এই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে বলে হাউজিং কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়। পরবর্তীতে হাউজিংয়ের বর্তমান এমডি মনির হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার ইমরান আমাদের তাকে প্রধান আসামি করে মামলা দিতে বলেন। তাদের নির্দেশেই আমি মামলা করেছি। পরে জানতে পারি,এ ঘটনায় মনোয়ার হাসান জীবনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
সোলায়মান বলেন,’সিসিটিভি ফুটেজ হাউজিং আমাদের দেখায়নি। তারা যেভাবে মামলা করতে বলেছে,আমরা সেভাবেই করেছি। এখন বুঝতে পারছি, হয়তো ভুল করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে মনোয়ার হাসান জীবন ওরফে লেদু হাসান বলেন,’আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ মামলার পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।’
অন্যদিকে চন্দ্রিমা মডেল টাউনের এমডি মো.মনির হোসেন জানান,’বাদী ও তার ভাই আমাদের কাছে জায়গা পাবে বলে আসে। আমরা তাদের বলেছিলাম,যেহেতু তাদের চাচা জমিটি বিক্রি করে দিয়েছেন, আগে পারিবারিকভাবে সমাধান করুন। পরে তারা নিজেরাই দেয়াল নির্মাণ শুরু করে,যেখানে তারা তাদের দাগের বাইরে অন্যের জমিও ঘিরে ফেলেছিল।’
তিনি আরও বলেন,’রাতের অন্ধকারে দেয়াল ভাঙার ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে, আমরা জানি না। তারা নিজেদের ইচ্ছায় মামলা করেছে, এখন আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.ইসলাম মল্লিক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো কংক্রিট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাউজিং থেকেও কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে,অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট এভিডেন্স নেই। খুব দ্রুতই মামলার ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হবে।’