

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
বিআরটিএ যশোর সার্কেলের মটরযান পরিদর্শক তারিক হাসান,ঘুষ,দুর্নীতি,দালাল সিন্ডিকেট,এর মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি করে অবৈধ ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে শিল্পপতি বনে গেছেন।
এসব বিষয়ের তদন্ত চেয়ে গেল সড়ক,জনপদ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মো. মোতাসিম বিল্লাহ নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে,মো.তারিক হাসান,মটরযান পরিদর্শক,বিআরটিএ যশোর সার্কেল যশোর এ কর্মরত আছেন। তার পিতার নাম-মো.কাইদুর রহমন,মাতার নাম-সামিনা রহমান,তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৪৭৩৭৪২৫৬৫, জন্ম তারিখ-১৮/০৮/১৯৮৬ইং,স্থায়ী ঠিকানা:গ্রামঃ দয়ারামপুর, ডাকঘর: দয়ারাপুর, উপজেলা:কোট চাদপুর,জেলা: ঝিনাইদাহ। তার টিআইএন নং-১৮৫৯৬৬৭৭১৬৪২,কর সার্কেল-১৯,ঝিনাইদাহ। তিনি বিআরটিএ তে সহকারী মটরযান পরিদর্শক হিসাবে যোগদান করার পর বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে মটরযান পরিদর্শক হিসাবে যশোর বিআরটিএতে কর্মরত আছেন। তিনি চাকুরীর শুরু থেকে দালাল সিন্ডিকেট লালন করে গ্রাহকদরে হয়রানি করে গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন, গাড়ীর রেজিষ্ট্রিশন, ফিটনেস সহ বিআরটিএ এর লাইসেন্স এর কাজে দালাল নিয়োগ করে গ্রাহকদের নিকট লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় এখন শিল্পপতি বনে গেছেন। তার পিতার নামে ও মাতা নামে আয়কর নথি খুলে তার অবৈধ টাকাকে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। তার বিষয়ে ইতি পূর্বে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়,তিনি তার এলাকায় খামার,বাড়ী, গাড়ী,কোটি কোটি টাকা অবৈধ ভাবে অর্জন করে তা তিনি শিল্প খাতে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি সাবেক ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে একসময়ে বিআরটিএতে রাজস্ব কায়েম করেন। এখনো সেই রাজত্বের দাপট চলমান রয়েছে। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও প্রকাশ্যে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি। এখানে ও রয়েছে তার বিশাল দালাল সিন্ডিকেট। অভিযোগে আরও উল্লেখ্য করা হয়েছে,গাড়ী রেজিস্ট্রিশন ফিটনেস সার্টিফিকেট,ড্রাইভিং লাইসেন্স,স্মার্ট কার্ড,ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেট,রুট পারমিট, কিংবা শ্রেণি পরিবর্তন,প্রতিটি ধাপেই বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর কৌশলে এই টাকা নিচ্ছেন একটি দালাল চক্র।
তিনি আরও জানান,যে চক্রের সদস্যেদের প্রাই দেখা যায় তারিক হাসান কক্ষে। অভিযোগে বলা হয়েছে ঝিনাইদাহ কর্মরত থাকাকালীন লিটন নামের এক ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরেও কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি ঐ বিষয়টি জন সম্মুখে ক্ষমা চেয়ে অফিস ছাড়তে বাধ্য হন। তার গ্রামের বাড়ীতে খোজ নিয়ে যানা গেছে চাকুরীতে যোগদান করার পর বাড়ীর পাশে বিশাল পুকুর ও জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়াও ড্রাগনের প্রজেক্ট তৈরী করেছেন কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে। তাছাড়াও তার ব্যবহৃত গাড়ীটি মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার উপরে। এছাড়াও পরিবারের কয়েক ডজন লোক এক সাথে বিআরটিএ তে চাকুরী করার সুবাদে তিনি নিরদিধায় অপকর্ম করেই যাচ্ছেন।
অভিযোগকারী জানান,যশোর সার্কেলের দালাল আলতাফ, দালাল সাজু,দালাল পারভেজ,দালাল লিটন,দালাল সোহেল,দালাল রানা,দালাল ইসমাইল, দালাল শাজাহান, সহ আরো কয়েক ডজন দালাল সদস্য হিসাবে কাজ করিতেছেন। তার বর্তমান সহকারী পরিচালক তার আত্মীয় হওয়ায় বর্তমানে তিনি আরো ঘুষ দুর্নীতি বেশি প্রাধান্য দিয়ে গ্রাহক হয়রানির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা খুবই জরুরী।
তবে অভিযোগের বিষয়ে বিআরটিএ যশোর সার্কেল বা অভিযুক্ত কর্মকর্তা তারিক হাসানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগীরা বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।