

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুর গত ১৯ অক্টোবর রবিবার সদর উপজেলা পরনন্দপূর বাজারে যুবদলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী ও ফরিদপুর ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস,জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য একে আজাদের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মিডিয়ায় যে শিরোনাম প্রকাশ হয়েছে তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুবদলের উদ্যোগে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মোলা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান দুলাল এর সভাপতিত্বে এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়ালের সঞ্চালনায় এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন।
গত ১৯ অক্টোবর রোববার ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচনের স্বতন্ত্র এমপি একে আজাদের গাড়ি বহরে হামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সাধারণ জনমনে ছাড়াও দলের নেতাকর্মী ও সমর্থনের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে এবং সারাদেশে যুবদলের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্না করার অপপ্রয়াসের একটি অংশ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফরিদপুর জেলা যুবদল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রকৃতপক্ষে, ওইদিনের ঘটনা সাথে ফরিদপুর জেলা যুবদলের কোন নেতাকর্মী বা কোন ইউনিট নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিতও ছিলেন না। যা ওই দিনের ঘটনায় প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজেই পরিস্কার রেকর্ড রয়েছে। বরং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একে আজাদ যুবদলকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যেই বক্তব্য দেন, সেই মিথ্যা ভিত্তিহীন বক্তব্যের সত্যতা যাচাই ছাড়াই কয়েকটি মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ায় এই বিভ্রান্তির অবতারণা হয় বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা আবারো স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে, ওই ঘটনায় জেলা যুবদলের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই, যুবদলের কোন নেতৃবৃন্দের কোন উপস্থিতি বা সংশ্লিষ্টতা সেখানে ছিলোনা। ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে আমাদের কোন সংগঠনিক কমিটি বিদ্যমান নাই।
তিনি জানায় জনসাধারণের তোপের শিকার হয়ে ওইদিন একে আজাদ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির মুখে ওই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কারণ একে আজাদের গাড়িবহরের সাথে নিষিদ্ধঘোষিত পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাণ ও মামলার আসামীদের দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তখন তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকণে পাল্টা স্লোগানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিন অকুস্থলে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কোন লিফলেট বিতরণ বা অন্য কোন কর্মসূচিও ছিলোনা। ফরিদপুর সদর আসনের বিএনপি নেত্রী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পক্ষে নেতাকর্মীরা সেখানে লিফলেট বিতরণ করছিলেন।
জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন । লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সবসময় উদার গণতান্ত্রীক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা সব ধরনের মত ও পথের অবাধ বিচরণে বিশ্বাসী। বিএনপি সবসময় জনগণের শক্তিতে বলিয়ান একটি রাজনৈতিক দল। জনগণই আমাদের ক্ষমতার একমাত্র উৎস। নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান আইন মেনে যে বা যারাই মাঠ পর্যায়ে তাদের তৎপরতা চালাবে, গণতান্ত্রীক দল হিসেবে তাদের কর্মকান্ডকে আমরা স্বাগত জানাই এবং শ্রদ্ধাশীল। কোন বিশেষ ব্যক্তি বা সংগঠনের প্রতি প্রতিহিংসাবশত কোন তৎপরতায় আমরা বিশ্বাসী নই কিংবা কখনো সমর্থনও করিনা।
এমতাবস্থায়, আমরা ফরিদপুরের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার নিরসণে এবং আগামীর গণতান্ত্রীক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আপনাদের বস্তুনিষ্ট ও নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফ, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজাওয়ান বিশ্বাস তরুণ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান, যুবদল নেতা হেমায়েত হোসেন হেলাল,সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির খান, কোষাধক্ষ্য ইলিয়াস মোল্লা, মৎস্য ও প্রাণী বিষয়ক সম্পাদক গালিব ইবনে হান্নান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এরপর ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয় সেখানে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফ ( ভিপিইউসুফ)।
পরে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা একটি প্রতিবাদ মিছিল প্রেস ক্লাবের চত্বর থেকে শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে শেষ করে।