নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর গুলশানে মাতার হেবা দলিল অনুযায়ী প্রাপ্ত ফ্ল্যাট থেকে এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী জালালুর রশীদ খান অভিযোগ করেছেন, তার সহোদর ভাই ও বোন মিলে ফ্ল্যাটটি দখল করে নিয়েছেন।

জালালুর রশীদ খানের দাবি,তার মা মৃত আনজুমান আরা রশীদ জীবিত অবস্থায় গুলশান-১ এর এসই (ই)-৩, রোড-১৩৭, ফ্ল্যাট নং ডি-১/এ হেবা দলিলের মাধ্যমে তার নামে প্রদান করেছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বৈধ মালিক হিসেবে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন।

তবে মাতার মৃত্যুর পর সহোদর ভাই হালিমুর রশীদ খান ও বোন সুরাইয়া চৌধুরী ফ্ল্যাটটি জোরপূর্বক দখল করে নেন এবং তাকে প্রবেশে বাধা দেন বলে অভিযোগ করেন জালালুর রশীদ।

তার ভাষায় এটি সম্পূর্ণ আমার মালিকানাধীন ফ্ল্যাট। অন্য কেউ যদি এটি নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করে, তারা প্রতারক ছাড়া কিছুই না।।

তিনি আরও জানান,বর্তমানে ফ্ল্যাটটিতে বসবাস করছেন অদ্রিতা চৌধুরী নামের এক নারী,যিনি নিজেকে প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তপন চৌধুরীর ভাতিজি ও বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। জালালুর দাবি,তাদের মধ্যে বহু আগেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে,তবুও অদ্রিতা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফ্ল্যাটটির দখল ধরে রেখেছেন।

জালালুর রশীদ খান আরও অভিযোগ করেন,ফ্ল্যাটটির মূল প্রবেশপথে প্রতিনিয়ত ৩–৪ জনের একটি বাহিনী পাহারা দেয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি গুলশান থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ১৬৮১/২২) করলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন,আমি একজন প্রতিবন্ধী ও একা মানুষ। এই সুযোগটাই তারা কাজে লাগিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই। আমার হেবা দলিল বৈধভাবে নিবন্ধিত।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বৈধভাবে রেজিস্টারকৃত হেবা দলিল একটি শক্তিশালী আইনি দলিল। মালিকের অনুমতি ছাড়া এমন সম্পত্তি দখল করলে আদালতের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

এখন দেখার বিষয়—প্রশাসন কবে ঘটনাটি তদন্ত করে ভুক্তভোগীর ন্যায়সঙ্গত দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়।