

নড়াইল প্রতিনিধি:নড়াইলে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল অবৈধভাবে খোলা বাজারে বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী ভুক্তভোগীদের আয়োজনে লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের নালিয়া বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সুরতি বেগম নামে এক কার্ডধারী বলেন, আমি কার্ডের চাল আনার জন্য নালিয়া বাজারের ডিলার মো. কামরুল খানের গোডাউনে যেয়ে নির্ধারিত মূল্য ৪৫০ টাকা দিয়ে চাল চাইলে চাল পরে দেবে বলে আমাকে ওখান থেকে পাঠিয়ে দেয়। এরপরে আমি কয়েকবার গেলেও আমাকে চাল দেওয়া হয়নি। মোস্তফা কামাল নামে একজন বলেন, আমি তিন চারবার চাল আনার জন্য গেলেও ডিলার আমাকে চাল দেননি। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযুক্ত দুই ডিলার বিএনপি নেতা মো. হিমায়েত মোল্যা ও জাসদ নেতা মো. কামরুল ইসলামের ডিলারশিপ বাতিলের দাবি জানান। এ সময় বক্তারা আরও বলেন, জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি চাল খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া জঘন্যতম অপরাধ। এর সাথে জড়িত মো. হেমায়েত মোল্যা এবং মো. কামরুল ইসলামের ডিলারশিপ বাতিলসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডিলার মো. হেমায়েত মোল্যা বলেন, ওই চাল নালিয়া বাজারের ডিলার মো. কামরুল ইসলামের গোডাউন থেকে নেওয়া হয়েছে। কামরুল ইসলামে মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমি স্থানীয় প্রশাসনকে অভিযুক্তদের ব্যাপারে আইনি প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছি। ঘটনার সাথে জড়িত কেউ ছাড় পাবে না তদন্ত করে অভিযুক্তদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে নালিয়া বাজার থেকে খাদ্য বান্ধবের চাল লাটা গাড়িতে মাগুরায় নিয়ে যাওয়ার সময় চালসহ গাড়িটি আটক করে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার নহাটা ফাঁড়ি পুলিশ। আটকের পর ওই চালের ক্রেতা মো. মিলন জানান, নড়াইল জেলার নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুর বাজারে ডিলার মো. হেমায়েত মোল্যা এবং নালিয়া বাজারের ডিলার মো. কামরুল ইসলামের কাছ থেকে তিনি চাল কিনেছেন। পরে মোহাম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ওই চাউলের ক্রেতা মো. মিলনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।