

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলে ৫০ হাজার টাকায় ১৮ মাস বয়সি এক শিশু সন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ওই শিশুটির পিতা বিল্লাল শিকদারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিল্লাল শিকদার কালিয়া উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের মৃত মতলেব শিকদারের ছেলে। জানা গেছে, বিল্লাল শিকদার নড়াইল পৌরসভার দূর্গাপুর গ্রামে খালু শশুর বাড়ির পাশে স্ত্রী সন্তান নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। সম্প্রতি বাচ্চা বিক্রির ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সরজমিন গিয়ে জানা যায়, শিশুটির পিতা বিল্লাল শিকদার ও তার খালু শশুর শহীদ শেখ এবং খালা শাশুড়ী রিতু বেগম ওই শিশুটিকে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের শাহীনুর মোল্যার স্ত্রী পারুল খাতুনের কাছে বিক্রি করেছেন। শিশুটির পিতা বিল্লাল শিকদারের বাসায় যেয়ে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শহীদ শেখ ও রিতু বেগম বলেন, আমাদের ভাগ্নি (শিশুটি মাতা রোজিনা খাতুন) গত ৪/৫ মাস আগে আমাদের কিছু না জানিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আমরা উপায় না পেয়ে ওই শিশু সন্তানের সুচিকিৎসা, সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দূর্গাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মধ্যস্থতায় শিশুটিকে দত্তক দিয়েছি, বিক্রি করি নাই। নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, কোলের শিশুকে বিক্রির সংবাদ পেয়ে ফিরে এসেছেন শিশুটির মা রোজিনা খাতুন। তিনি তার খালা খালুর কাছে সন্তান ফেরত চাইলে শুরু হয় ঝগড়াঝাটি। ঝগড়ার এক পর্যায়ে খালা রিতু বেগম বলেন, বাচ্চাটিকে যে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করছি তুই সেই টাকা নিতে এসেছিস। তবে অজানা কারণে কথা বলতে রাজি হননি শিশুটির মা রোজিনা খাতুন। শিশুটি বিক্রির মধ্যস্থতাকারি মোহাম্মদ আলী বলেন, শিশুটিকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয় আমি জানিনা তবে আমি ৫ হাজার টাকা দিতে দেখছি। এ বিষয়ে জানতে শিশুটির ক্রেতা পারুল খাতুনের বাড়িতে যেয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পারুলের বড় ভাই উজ্জ্বল মোল্যা জানান, পারুল ৩দিন আগে ওই শিশুকে নিয়ে সম্ভবত তার দেবরের বাড়ি ঢাকা গেছে। তিনি আরও জানান, তিনারা ওই শিশুটিকে এভিডেভিড করে দত্তক নিয়েছেন। এ বিষয়ে নড়াইল জর্জ কোর্টের এক আইনজীবী বলেন, এভাবে এভিডেভিডের মাধ্যমে শিশু দত্তক নেওয়া দেওয়ার বিধান নেই।