

মো:তারিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি: জীবননগরে রাসায়নিক সারের সুষম ব্যবহার বিষয়ে কৃষক-কৃষাণীদের উদ্বুদ্ধ করতে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(২০ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সিংনগর গ্রামে পার্টনার ফিল্ড স্কুল পুষ্টি ও কৃষক সেবা কেন্দ্রে এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.মাসুদুর রহমান সরকার।জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) মিঠু চন্দ্র অধিকারী, জীবননগর কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পাভেল রানা,উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার বকুল হোসেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইয়াছিন আলী, সিংনগর গ্রামের ইউপি সদস্য আহাদ আলী,সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
উঠান বৈঠকের পূর্বে অতিথিরা প্রতিটি পুষ্টি বাড়িতে নিরাপদ সবজি উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।উঠান বৈঠকে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে ফেলছি।একটু বেশি ফলন পেতে প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে জমিতে ইচ্ছে মত সার ব্যবহার করছি।এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে ও জমির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এখন ভুট্টা রোপণ শুরু হয়েছে। এই চাষে পরিমাণমত রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে। প্রতি বিঘা জমিতে ৬৭/৭৪ কেজি ইউরিয়া, টিএসপি অথবা ডিএপি ৩২/৩৫ কেজি,জিপসাম ৩২/৩৫ কেজি, পটাশ ৩২/৩৫ কেজি,দস্তা সার ১.৫ /২ কেজি,বোরন ৬০০ গ্রাম/১ কেজি ও গোবর সার ৫০০/৬৫০ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।এই সার গুলো তিন কিস্তিতে জমিতে ছেটাতে হবে।কৃৃষকেরা জৈব সার ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে অন্যান্য সার বেশি ব্যবহার করছে যার কারনে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। প্রতিটি জমিতে পরিমাণ মত জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। বৈঠক শেষে খেজুরের চারা রোপণ করেন অতিথিরা।