

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি,
ককসবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভ্যয়ারণ্য মাঝিরকাটায় ডাকাতের আস্তানায় র্যাব এর অভিযানে ডাকাত কতৃক গুলি ছুঁটার ঘটনা ঘটেছে। র্যাবের চৌকস দলটি এ সব উপেক্ষা করে আস্তানা ঘিরে ৪ টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র উদ্ধার করে। বিশ্বস্থ এলাকাধিক এ সব তথ্য জানান এ প্রতিবেদককে।
সুত্র আরো জানান,বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে
র্যাব এর একটি দল স্থানীয় স্বশস্ত্র ডাকাত দলের একটি আস্তানা ঘিরে ফেলে। পরে অভিযানে নামে তারা৷ র্যাব এর উপর গুলি ছুঁটতে ছুঁটতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এর পরে র্যাব সদস্যরা আস্তানায় তল্লাশি করে ৪ টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র উদ্ধার করে।
স্খানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আবু নায়েম,শামশুল আলম ও শহিদুল্লাহ এ প্রতিবেদককে বলেন,র্যাব সদস্যরা রহিম ডাকাতের বাড়ির ভেতরে প্রবেশের আগেই তারা ৪ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ছুটে সন্ত্রাসীরা। তখন তাদের মুখে কালো কাপড় ছিল। হাতে অস্ত্র৷ তবে র্যাব সামান্য পেছনে গিয়ে কৌশলে তাদের আটকাতে চেষ্টা করলেও ডাকাত দল চিপা পথ বেয়ে পালিয়ে যায়।
তবে এ বিষয় জনৈক আবদুর রহিম (ডাকাত রহিম নামে খ্যাত) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে তার একটি বিশ্বস্থ সুত্র দাবী করছেন
এ সব শাহিনের সহযোগীদের নাটক।
তিনি (আরদুর রহিম) এলাকা নাই আজ ১ সপ্তাহ। সীমান্ত ব্যবসায় ধস নামায়
সে অন্যত্র চলে যান। আর মাঝির কাটায়
ভারী অস্ত্র রয়েছে শুধু শাহিন বাহিনীর সহযোগীদের হাতে। যা শাহিন বাহিনীর একটি সুত্র অস্বীকার করেন।
র্যাব-এর অভিযান বিষয়ে রামু গর্জনিয়া ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ শাজজাহান মুনির বলেন,অভিযানের বিষয়টি অবহিত আছেন তিনি । তবে বিস্তারিত বলতে পারছেন না এ বিষয়ে। র্যাব বাহিনীই জানবে অভিযানের বিষয়ে।
অপর দিকে ককসবাজারস্থ র্যাব-১৫ এর অধিনায়কের সাথে এ বিষয়ে জানতে একাধিক যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয় নি।