1. alamgirhossen6085@sokalerkhobor24.com : alamgirhossen6085 :
  2. dinislam1144@sokalerkhobor24.com : Din Islam : Din Islam
  3. litonakter@sokalerkhobor24.com : litonakter :
  4. nalam.cht@sokalerkhobor24.com : nalam.cht :
  5. reporter1@sokalerkhobor.com : reporter1 :
  6. info@sokalerkhobor24.com : sokalerkhobor24 :
  7. admin@sokalerkhobor24.com : unikbd :
"খুলনা ৬ আসনে বিএনপি'র ত্যাগী নেতা রফিককে তৃণমূলের জনগণ প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় | সকালের খবর ২৪
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

“খুলনা ৬ আসনে বিএনপি’র ত্যাগী নেতা রফিককে তৃণমূলের জনগণ প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৯৯ বার পঠিত

কয়রা (খুলনা)প্রতিনিধি :আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও ত্যাগী রাজনীতিক রফিকুল ইসলাম রফিক। দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে মাঠে থাকা এই নেতাকে এখন এলাকার সাধারণ মানুষ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।
জাতীয়তাবাদী পরিবারে বেড়ে উঠা থেকে ছাত্রজীবনে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি ও ছাত্রদলের রাজনীতিতে। তিনি ছিলেন ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-দপ্তর সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি। পরে তিনি বিএনপির সারা দেশব্যাপী সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির খুলনা জেলার টিম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনীতিতে আদর্শ ও ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রফিকুল ইসলাম রফিক। আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নের সময়েও যখন অনেক নেতা মাঠে ছিলেন না, তখন কয়রা-পাইকগাছার রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনিই। তাঁর নেতৃত্বে অসংখ্য মিছিল-মিটিং হয়েছে, যার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ১১টি নাশকতার মামলা। পরিবারসহ নানা হুমকি ও চাপের মুখেও তিনি দমে যাননি, তাঁর আপন ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম নাশকতা মামলায় ৮ মাস জেল খেটে দলের পতাকা উঁচু রেখেছেন দৃঢ় হাতে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়নপত্র কিনলেও দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বেচ্ছায় প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ান। দলের স্বার্থে নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দেওয়ার এই দৃষ্টান্ত তাঁকে আজ তৃণমূলের কাছে ‘ত্যাগী নেতা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।রফিকুল ইসলাম রফিক নিয়মিত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন দলের জন্য। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন ঘরে ঘরে। এলাকায় তার পরিচিতি এখন শুধু রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, বরং মানুষের আপনজন হিসেবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি অনুপ্রেরণার প্রতীক।
স্থানীয়দের ভাষায়, “রফিক ভাই শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের পরিবারের মানুষ। দুঃসময়ে, বন্যায়, বিপদে-আপদে তিনিই সবার আগে ছুটে আসেন।” কয়রা-পাইকগাছার প্রতিটি গ্রামে তাঁর নাম এখন বিএনপির আশা হিসেবে উচ্চারিত হচ্ছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘের দখল, তদবির বাণিজ্য বা নারী কেলেঙ্কারির কোনো অভিযোগ বা রেকর্ড নেই। তিনি একজন ক্লিন ইমেজের নেতা ।
তাঁর ভিশন ও পরিকল্পনাও স্থানীয় উন্নয়নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত—আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নদী ভাঙন রোধে কার্যকর প্রকল্প বাস্তবায়ন। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি। মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের বিনা ডোনেশনে শিক্ষা লাভের সুযোগ নিশ্চিত করা। এলাকার হাসপাতালগুলো আধুনিকায়নের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জন্য সাশ্রয়ী চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা।
নিজের রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, “রাজনীতি আমার কাছে পদ নয়, এটি জনগণের সেবা করার অঙ্গীকার। আমি দলের জন্য যে ত্যাগ দিয়েছি, সেই মূল্য জনগণ নিশ্চয়ই দেবে। আমি চাই, কয়রা-পাইকগাছার মানুষ উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের অধিকার পাক—এই লক্ষ্যেই আমি রাজনীতি করি।খুলনা-৬ আসনের রাজনীতিতে টেকসই একটি আলোচিত নাম রফিকুল ইসলাম রফিক। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই ত্যাগী নেতা আজ মানুষের আস্থা, ভালোবাসার প্রত্যাশার প্রতিক হয়ে উঠেছেন। এলাকাবাসীর দাবি তাকে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সকালের খবর ২৪ | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি ।
Developed By UNIK BD