

রফিকুল ইসলাম রনজু (কুড়িগ্রাম) উপজেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নে গাগলা বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে, ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) নেওয়াশী ও সন্তোষপুর ইউনিয়ন বিএনপির যৌথ উদ্যোগে, গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা সফল ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মত বিনিময় সভায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাঁতী দল, ও স্থানীয় মানুষজন সহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. নুরুল আমিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাহফুজার রহমান আপেল সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি সফলতা লাভ করে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদস্য ও কুড়িগ্রাম-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. ইউনুছ আলী। তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, “আমি তোমাদেরই লোক। এলাকার মানুষের টানে, মায়ায় আমি আজ এখানে এসেছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকতে। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। রাজনীতি মানে কেবল ক্ষমতার লড়াই নয় — রাজনীতি মানে মানুষের পাশে থাকা।”
ডা. ইউনুছ আরও বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সংগ্রাম করছে। চরাঞ্চলের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। তিনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের কাজ করতে হবে। কুড়িগ্রাম-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে জয় নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নয়, আপনাদের একজন সেবক হিসেবেই কাজ করতে চাই।”
সভায় প্রধান বক্তা আলহাজ্ব শফিউল আলম শফি বলেন, বিএনপি এখন সত্যিকার অর্থে গণমানুষের দল। ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হলে দরকার ঐক্য, সততা ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। তিনি নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে তরুণদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন নেতৃত্বই পরিবর্তনের পথ দেখাবে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন আপেল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সরকার, মোজাম্মেল হক দুদু, সদস্য জাহিদুল ইসলাম খান ও মহিলা নেত্রী আইরিন মনি সভায় বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, চরাঞ্চলের দীর্ঘদিনের অবহেলা দূর করতে গণতন্ত্রের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা এবং সাহসী ও কর্মক্ষম নেতৃত্বের উত্থান অপরিহার্য।গণসংযোগ শেষে দলীয় নেতা-কর্মীরা ঘোষণা দেন, তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করবেন এবং বিএনপির সব কর্মসূচি সফল করতে প্রস্তুত। সভাটি কেবল একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটি ছিল ঐক্যের এক প্ল্যাটফর্ম, পরিবর্তনের বার্তা।